সাম্প্রতিক সময়ে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যেখানে বারবার হোঁচট খাচ্ছে তখন জার্মানির বায়োএনটেক এবং মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের টিকা BNT162B2 কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই যে কোনো মানবদেহকে নতুন কিংবা পুরনো করোনা থেকে দিচ্ছে শতভাগ সুরক্ষা।
জার্মানির চিকিৎসাবিজ্ঞান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শুরু থেকে বায়োএনটেকের টিকা নেয়া কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের শরীরে নানাভাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে করোনার যে কোনো নতুন ধরন থেকে এই টিকা সুরক্ষা দেবে কমপক্ষে ৯১ শতাংশ। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় বায়োএনটেক ফাইজারের টিকা নিয়েছেন এমন ৮০০ জন মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই টিকা সে দেশের করোনার নতুন স্ট্রেন B1.351 থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে শতভাগ। শুধু তাই নয় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। যার বেশির ভাগই ফাইজারের টিকা।
কয়েকজন জানান, যদি আমরা টিকা নেই তাহলে অবশ্যই আনন্দের সঙ্গেই বায়োএনটেক এর টিকা নেব। সত্যি বলতে কি এই টিকায় এখনো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখিনি বা শুনিনি। সবচেয়ে চমৎকার বিষয় জার্মানির এই টিকা তৈরির আগে এবং প্রয়োগের পরে মানবদেহে কেমন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে তা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে জার্মানিতে টিকা প্রয়োগে ধীরগতি থাকলেও চলতি মাসেই টিকা কার্যক্রমে গতি ফিরবে বলে প্রত্যাশা সাধারণ নাগরিকদের।
সাধারণ মানুষ জানান, আমরা খুবই আশাবাদী আমাদের টিকা কার্যক্রমে এখন যে ধীরগতি চলছে, সেটি আর থাকবে না। এই এপ্রিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। দেখবেন এই গ্রীষ্মেই সবাইকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে জার্মানির মারবুর্গেই চলতি বছরের মাঝামাঝিতে আরো ২৫০ মিলিয়ন ডোজ ও বছর শেষে ১০০০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা উৎপাদন করবে বায়োএনটেক ও ফাইজার, যা পৌঁছে যাবে বিশ্বের সব জায়গায়।