চলতি লা লিগা মৌসুমটা ভালোভাবেই শুরু করেছিল শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর বেশ কিছু ম্যাচে খেয়েছে হোঁচট, ফলে তাদের শিরোপা ধরে রাখাটা পড়ে গেছে শঙ্কায়। লিগ ধরে রাখতে হলে প্রতি ম্যাচে তো জয় তুলে নিতেই হবে, করতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনিষ্ট কামনাও। এমন সমীকরণ নিয়েই আগামী ১১ এপ্রিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল। তবে এর আগে এমন এক দুঃসংবাদ পেয়েছে দলটি, যা কোচ জিনেদিন জিদানকে রাখবে বেশ দুশ্চিন্তায়।
গত ৩১ মার্চ স্পেনের হয়ে কসভোর বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন দলটির অধিনায়ক সার্জিও রামোস। এরপর সেদিন রাতেই রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায় স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডারের চোটের কথা। পায়ের পেশিতে এই চোটের কারণে অন্তত তিন ম্যাচে তার খেলা পড়ে গেছে অনিশ্চয়তায়। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, চোট থেকে সেরে ওঠতে অন্তত এক মাসের মতো সময় চাই রামোসের। যদিও রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে জানায়নি তেমন কিছুই।
এদিকে রামোসের সর্বশেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টও অবশ্য নির্দেশ করছে বড় সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়ার দিকেই। তিনি লিখেছেন, ‘এমন মহাগুরুত্ববহ ম্যাচগুলোয় খেলতে না পারাটা আমাকে বেশ পীড়া দেয়।’
চলতি মাসটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণই বটে। আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে লিভারপুলের মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপরের ম্যাচেই লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলবে জিদানের দল। ১৫ এপ্রিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউটের ফিরতি ম্যাচে লিভারপুলের মাঠে খেলবেন কারিম বেনজেমারা। যার কোনো একটাতেও হার চলতি মৌসুমে দলটির শিরোপা-যাত্রাকে ব্যহত করতে পারে বাজেভাবেই। এমনই এক সময়ে অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে হারাল রিয়াল।
স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার রিয়ালের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার একটা ধারণা মিলতে পারে একটা তথ্য থেকে। শেষ দুই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল থেকে বিদায় নিয়েছে দুই বার। দু’বারই নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি রামোস। এরপর চলতি মৌসুমেও গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি, দল চলে গিয়েছিল খাদের কিনারায়। এরপর শেষ ম্যাচে দলটির বাঁচা-মরার লড়াইয়ে তিনি ফেরেন, দলও গ্রুপ পর্ব শেষ করে সেরা দল হিসেবে!
চলতি মৌসুমে রামোসের চোট সমস্যা অবশ্য নতুন কিছু নয়। চারটি ভিন্ন চোটে ২০২০-২১ মৌসুমে সর্বমোট ৮৮ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। খেলতে পারেননি সর্বমোট ১৮ ম্যাচে।