প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা কার্যক্রম শুরুর দিন (২৭ জানুয়ারি) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নিয়েছিলেন।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘বিরতিহীনভাবে একটানা ৩৬৫ দিনের বেশি অফিস করার পর উপসর্গসহ করোনায় আক্রান্ত হলাম। মহান আল্লাহ এই মহামারি থেকে মানবজাতিকে, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করুন। আমিন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলমসহ সংস্থাটির পাঁচ থেকে সাতজন এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন। পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘প্রথমে অধিদফতর অফিসের ছয় কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হন। যারা সব সময় আমার আশপাশে থাকতেন।’
দেশে প্রথম ৫ জন টিকা গ্রহীতার একজন ডা. নাসিমা সুলতানা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন। সেদিন প্রথম পাঁচজনের দেহে টিকা প্রয়োগ করা হয়। তাদেরই একজন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
সেদিন দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ভারত থেকে আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটের ইনচার্জ।
এরপর দ্বিতীয় টিকা নেন ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, তৃতীয় টিকা নেন স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত ডিজি নাসিমা সুলতানা, চতুর্থ টিকা নেন পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে টিকা নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।