নিউজিল্যান্ড সফরকে সামনে রেখে দেশে অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ দল,তা ঠিক। তবে সাকিবহীন দলটি নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের পর উন্মু্ক্ত চলাফেরা করতে পেরেছে।
কুইন্সটাউনে করেছে নিবিড় অনুশীলন ক্যাম্প। অনুশীলন নিয়ে কারো কোন অভিযোগ থাকার কথা নয় বলে সিরিজের শুরুতেই গণমাধ্যমকে বিসিবির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তামিম।
ওয়ানডে সিরিজে ৩-০তে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-২০ সিরিজের ফলও একই (৩-০)। ২ টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বাদ দিলে অন্য ৪টি ম্যাচ লড়ার সাহসই হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ ম্যাচে ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ১৪১/৪-এর জবাবে বাংলাদেশ থেমেছে ৭৬/১০-এ।
কেন এই ব্যর্থতা ? তার ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ দলের টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছেন-‘ মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয়ে গেলে সেখান থেকে কিছু নেয়ার থাকে না। পুরো সিরিজেই আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমরা এখানে আগেই এসেছিলাম, নিজেদের প্রস্তুতও করেছিলাম। কুইন্সটাউনে ভালো একটা ক্যাম্পও করেছি। অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করেছি, কিন্তু মাঠে তা দেখাতে পারিনি।’
টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে দলের এমন পারফরমেন্সে হতাশ মাহমুদউল্লাহ-‘টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে এটা খুব হতাশজনক। আমাদের এখান থেকে কিছু একটা বের করতে হবে। আমরা এই সিরিজটা ভুলে যেতে চাইব। এখানে এসেছিলাম কিছু একটা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে। লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলাম, কিন্তু সেটা আমরা মাঠে করে দেখাতে পারিনি।’
নিউজিল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের নতুন নয়। সেই ২০০১ সাল থেকে দ্বি-পাক্ষিক সফর চুক্তিতে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে সফর করেছে বেশ ক’বার। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ভাঙতে পারেনি এখনও হারের বৃত্ত। টেস্ট,ওয়ানডে,টি-২০ মিলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিক দলের কাছে ৩২ ম্যাচের সব ক’টিতে হেরেছে বাংলাদেশ দল। এমন লজ্জার রেকর্ড ভারী হওয়ায় বিব্রত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ- হ্যাঁ এখানে অনেক বছর ধরে খেলছি, কিন্তু কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি। আমরা জানতাম, এটা কঠিন হবে। নিউজিল্যান্ডে কিউইদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। সম্প্রতি ওরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। আমরা জানতাম, নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হলে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই আমাদের সেরাটা দিতে হবে। কিন্তু আমরা তা পারিনি।’