spot_img

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ৪৩ শিশু নিহত

অবশ্যই পরুন

শিশু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে দেশটিতে অন্তত ৪৩ শিশু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংস্থাটির এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বর্তমানে ‘দুঃস্বপ্নের পরিস্থিতি’ বিরাজ করছে, যেখানে সাত বছর বয়সী শিশুও নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় নিহত হয়েছে।

বিবৃতিতে সংস্থাটি সতর্ক করে জানায়, সহিংসতার শিকার হয়ে আহত শিশুর সংখ্যাও বিপুল। নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানে এক বছর বয়সী শিশুর চোখে রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সহিংসতার জেরে ভয়, শোক ও মনস্তাত্ত্বিক চাপে মিয়ানমারে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে বলে জানায় সেভ দ্য চিলড্রেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিশুরা সহিংসা ও ভয় প্রত্যক্ষ করছে। এটি স্পষ্ট যে, মিয়ানমার শিশুদের জন্য আর নিরাপদ স্থান নয়।’

এদিকে থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, বুধবার পর্যন্ত অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে জান্তা কর্তৃপক্ষের হাতে ৫৩৬ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে বন্দী রয়েছেন দুই হাজার সাত শ’ ২৯ জন।

১ ফেব্রুয়ারি তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

সূত্র : বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ