বৃষ্টির কারণে দীর্ঘসময় বন্ধ ছিল ম্যাচ। কমে যায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ১০ ওভার কমে ১০ ওভারের ম্যাচ মাঠে গড়ায়। যেখানে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের উপর রীতিমত তাণ্ডব চালান নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও মার্টিন গাপটিল। দুই ব্যাটম্যানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করেছে কিউইরা।
চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার পরিবর্তে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে লিটন দাসের। কার্টেল ওভারের ম্যাচে টস ভাগ্য লিটনের পক্ষে যায়। আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আগে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন স্বাগতিকদের দুই ওপেনার অ্যালেন ও গাপটিল।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের সামনে মুখ রক্ষার। এ ম্যাচ জিততে না পারলে ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় পড়তে হবে সফরকারীদের। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের বাউন্ডারি তুলনামূলক বেশ ছোট। সে সুযোগটাই কাজে লাগালেন গাপটিল-অ্যালেনরা। শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন তারা। এতে ব্যাট-বলে ভালো সংযোগ না হলেও বাউন্ডারি চলে আসে প্রায় প্রতি বলে।
সফরজুড়ে বরাবরের মতো এ ম্যাচেও বাজে ফিল্ডিং প্রদর্শন করে সফরকারীরা। ১০ ওভারের ম্যাচেও একাধিক ক্যাচ ফেলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলামরা। ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩৪ বলে ৮৫ রান যোগ করেন অ্যালেন ও গাপটিল। ৪৪ রানে থাকা গাপটিলকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ইনিংসটি গাপটিল সাজান ১টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে।
সঙ্গীকে হারিয়েও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি অ্যালেন। মাত্র ১৮ বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি। পরে গ্লেন ফিলিপস ১৪ রানে আউট হলে অ্যালেনের ২৯ বলে ৭১ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার শেষে ১৪১ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। যেখানে অ্যালেন নিজের ইনিংসটি সাজান ১০টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে। জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন ১৪২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ১৪১/৪, ১০ ওভার (অ্যালেন ৭১, গাপটিল ৪৪, ফিলিপস ১৪; তসকিন ১/২৪, মেহেদী ১/৩৪, শরিফুল ১/২১)