spot_img

পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু ভোটের প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশ

অবশ্যই পরুন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণের দিন গণ্ডগোল ও উত্তেজনা ছিল চোঁখে পড়ার মতো। আর তাই ‘সুষ্ঠু ভোটের প্রয়োজনে’ এবার দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় দেশটির নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সূত্র উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দ্বিতীয় দফা ভোটে আত্মরক্ষার জন‌্য প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফার ভোটে পটাশপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক সদস্যের আহত হওয়ার ঘটনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় রাজ্যটির যাদবপুরের গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই ঘটনায় এক সিপিএম কর্মী নিহত হয়। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

গত শনিবার প্রথম দফা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুর থানার আড়গোয়াল অঞ্চলের সাতশতমাল এলাকায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে বোমার আঘাতে আহত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক সদস্য। বর্তমানে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ফলে নির্বাচনের কাজেও বাহিনী যদি কোনোভাবে আহত হয় তাহলে সেই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ীই এবার তারা কাজ করবে। অর্থাৎ বাহিনীর ওপর যদি বোমা-গুলি চলে সেক্ষেত্রে তারা এসওপি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন কমিশনের এই কঠোর নির্দেশ রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের ৯টি আসনের জন্য ১৯৮ কোম্পানি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯টি আসনের জন্য ১৯৮ কোম্পানি, বাঁকুড়ার ৮টি আসনের জন্য ১৬১ কোম্পানি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ৪টি আসনের জন্য ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডই নয়, গত ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার করবো: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব। শুধু জুলাই-আগস্ট...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ