শুরুতে বল হাতে ভাল করতে না পারলেও মাঝে নিজেদের মেলে ধরেছিল বাংলাদেশ দল। যে কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিপজ্জনক মার্টিন গাপটিল ও ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শেষ দিকে সেটা আর ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। বলতে গেলে তাসকিন আহমেদ, মেহেদী শেখরা করেন এলোমেলো বোলিং। সে সুযোগে রীতিমতো ঝড় তোলেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল। শেষ পর্যন্ত তাদের কারণে নিউজিল্যান্ড করতে পারে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। এরপরই আবার আসে বৃষ্টি। পরে কাটল ওভারে জিততে সফরকারীরা লক্ষ্যমাত্রা পেয়েছে ১৬ ওভারে ১৭০ রান।
নেপিয়ারে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ঠিক সুবিধা করতে পারেনি টিম টাইগার্স। তাই নিউজিল্যান্ড করতে পারে ১৭. ৫ বলে ১৭৩ রান তুলেছে। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৫৮ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। এদিকে ১৬ বলে ৩৪ রান করেন ড্যারিল মিচেল। সফরকারীদের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী ৪৫ রানের বিনিময়ে।
বুধবার বল হাতে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। যে কারণে ৩ ওভারের মধ্যেই ৩৬ রান তুলে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার গাপটিল ও অ্যালান। কিন্তু চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তাসকিন আহমেদের বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়েন অ্যানাল ১০ রান করে। সেই ওভারেই অ্যালেনের ক্যাচ ফেলেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এর কিছুক্ষণ পরই তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরেন গাপটিল। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে গাপটিল থার্ড ম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো তাসকিনের এক হাত ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর ক্যাচটি লুফে নেন।
২ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই কিউই শিবিরে আঘাত করেন শরিফুল। তার বলে মিড উইকেটে কনওয়ের ক্যাচ নেন মোহাম্মদ মিথুন। দ্রুত উইকেট হারালেও কিউই ঠিক চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। সে সুযোগে গ্লেন ফিলিপস এক প্রান্তে ঝড় তোলেন। তাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন উইল ইয়ং ও চাপম্যান। তবে প্রথমবার বৃষ্টি হাঁনা দেয়ার আগে ও পরে ঐ দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন শেখ মেহেদী। কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি টাইগারদের। কেননা ষষ্ঠ উইকেটে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে টাইগার বোলারদের ওপর তান্ডব চালান ফিলিপস। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তিনি ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। অন্যদিকে মিচেল তোলেন ঝড়। দ্বিতীয়বার বৃষ্টি আসার আগে তিনি ১৬ বলের মধ্যেই মারের ৬টি চার। যে কারণে রান তোলার গতি মুহূর্তের মধ্যে বেড়ে যায় স্বাগতিকদের। তাতেই বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ দল। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে টাইগারদের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৬ ওভারে ১৭০ রান।