spot_img

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি : তথ্যমন্ত্রী

অবশ্যই পরুন

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২৬ মার্চ এমন ঘটনা, জনগণের সম্পত্তি, সরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার শামিল। যেটিতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এটির সঙ্গে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল যখন বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন তারা ডাক দেবেন। তার মানে এসব নৈরাজ্যগুলো তাদের পরামর্শ ও পৃষ্টপোষকতায় হয়েছে এটিই প্রমাণিত হয়। এ সমস্ত নৈরাজ্য নরেন্দ্র মোদীর আগমনের জন্য করা হয়নি, এগুলো করা হয়েছে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, গত রবিবার (২৮ মার্চ) হরতাল শেষ হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে নয়টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাস্তার উপর দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি ও তাদের ঘরোনার কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী। এতে এটিই প্রমাণিত হয় ২০১৩-১৪-১৫ সালে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল তারা বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত। একই গোষ্ঠী আজ নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এমন সময় এটি করা হচ্ছে, এতেই প্রমাণ হয় তারা আসলে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে আঘাত আনতে চায় এবং এনেছে।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৩-১৪-১৫ সালে এর চেয়েও বেশি নৈরাজ্য মোকাবিলা করে আমরা দেশে শান্তি-স্থিতি স্থাপন করেছি। আমরা এবারও বদ্ধ পরিকর। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের জানমাল রক্ষা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মির্জা ফখরুল সাহেবরা যে স্বপ্ন দেখছেন সে স্বপ্ন কখনও বাস্তবায়ন হবে না। ২০১৩ সালের বিএনপি ২০২১ সালের বিএনপি এক নয় আর ২০১৩ সালের আওয়ামী লীগ ২০২১ সালের আওয়ামী লীগ এক নয়। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও আত্মপ্রত্যয়ী।

নারায়ণগঞ্জ ও বায়তুল মোকাররমে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য জনগণকে জানানোর জন্য সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করবে এটিই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আমি সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে অনুরোধ জানাবো পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যেন কোনো সাংবাদিক নিগৃহীত না হয়, কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলা পরিচালনা করা না হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জয়ের পর তার চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জয়ের পর...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ