spot_img

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়, সিরিজ ভারতের

অবশ্যই পরুন

লক্ষ্যটা ছিল ৩৩০ রানের। তাই শুরু থেকে মারকুটে ব্যাটিং করে গেলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমার ও শার্দুল ঠাকুরের পেসে ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে গেলে অসহায় আত্মসমর্পণের শঙ্কায় পড়েছিল সফরকারীরা। যদিও হেরে যাওয়ার আগে হার মানেনি। স্যাম কারানের ব্যাটে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে শেষ বল পর্যন্ত। চাপে নতজানু ভারতই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ৭ রানে। তাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজও ২-১ এ জিতলো স্বাগতিকরা।

দুই দফায় খাদের কিনারায় পড়েছিল ইংল্যান্ড- ৯৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর এবং যখন ২৫৭ রানেই ছিল না তাদের ৮ উইকেট। প্রথম ধাক্কা সামলান ডেভিড মালান। পরের ধাক্কা কারান। দুজনের ব্যাটে অসহায় হয়ে পড়া ইংল্যান্ড লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। কিন্তু হার মানতে হয় তাদের। ৯ উইকেটে ৩২২ রানে থামে তারা। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩২৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ২৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার জেসন রয় (১৪) ও জনি বেয়ারস্টোকে (১) হারায় ইংল্যান্ড। ডেভিড মালানের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন আগের ম্যাচের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস (৩৫)। দলীয় ৯৫ রানের মধ্যে সফরকারী অধিনায়ক জস বাটলারও (১৫) বিদায় নেন।

উইকেট হারালেও রান রেটের গতি ঠিক পথেই ছিল। লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে ৬০ রানের জুটিতে দলকে পথে রেখেছিলেন ডেভিড মালান। শার্দুল ঠাকুরের পর পর দুই ওভারে লিভিংস্টোন (৩৬) ও মালান (৫০) বিদায় নিলে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড।

১৬৮ রানের মধ্যে নেই ৬ উইকেট। দলীয় স্কোর দুইশতে রেখে মঈন আলীকে (২৯) আউট করেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২৫৭ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন আদিল রশিদও (১৯)। এর পর কারানের সঙ্গে মার্ক উডের দুর্দান্ত প্রতিরোধ। ৪৮তম ওভারে এই জুটি ভেঙেই ফেলেছিলেন ভুবনেশ্বর। এলবিডাব্লিউর আপিলে আম্পায়ার ভারতের পক্ষে রায় দেন। তবে ইংল্যান্ড রিভিউ নিলে জীবন পান উড।

শেষ দুই ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৯ রান। ৪৯তম ওভারে ফের জীবন পান উড, মিডউইকেটে ক্যাচ ফেলে দেন শার্দুল। ওই ওভারে আসে ৫ রান। ১৪ রানের লক্ষ্যে শেষ ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট হন উড (১৪)। ভাঙে ৬০ রানের জুটি। দ্বিতীয় বলে রিচি টপলি একটি রান নিয়ে কারানকে স্ট্রাইকে আনেন। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ বলে রান নিতে পারেননি কারান। ম্যাচ চলে যায় তাদের নাগালের বাইরে। পঞ্চম বলে তিনি মারেন বাউন্ডারি। শেষ বলে আসেনি কোনও রান। ৮৩ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলেন কারান।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শার্দুল। তিন উইকেট পান ভুবনেশ্বর।

টস হেরে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জস বাটলার। সিদ্ধান্তটা তাদের অনুকূলে যায়নি। রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের ১০৩ রানের জুটিতে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয় ভারত। আদিল রশিদ টানা দুই ওভারে দুজনকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনেছিলেন। রোহিত ৩৭ রানে বোল্ড হন, ৬৭ রান করে ধাওয়ান ফিরতি ক্যাচ দেন।

এর পর আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান বিরাট কোহলি (৭) ও সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল (৭) বিদায় নিলে বিপদে পড়ে ভারত। কিন্তু ঋষভ পান্ত পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে আবার তাদের পথে ফেরান। ৯৯ রানের জুটি গড়ার পথে দুজনেই ফিফটির দেখা পান। ৬২ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৭৮ রান করা পান্তকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন স্যাম কারান। ৪৪ বলে ৬৪ রান করার পর পান্ডিয়া থামেন বেন স্টোকসের কাছে বোল্ড হয়ে।

শেষ দিকে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুরের ৪৫ রানের জুটিতে তিনশ ছাড়ায় স্বাগতিকরা। মার্ক উড টানা দুই ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে রানের লাগাম টেনে ধরেন। শার্দুলকে ৩০ রানে বাটলারের ক্যাচ বানান। ৪৮তম ওভারে উডের জোড়া শিকার হন ক্রুনাল (২৫) ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (০)। পরের ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন রিচি টপলি। ৪৮.২ ওভারে ৩২৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। আগের ম্যাচে রেকর্ড ৩৩৬ রান তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের পক্ষে উড সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি পেয়েছেন আদিল।

সর্বশেষ সংবাদ

সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ৬০ দিন

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ