২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য। এত বড় লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে মহা বিপর্যয়ে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫৯ রানেই নাই হয়ে গিয়েছিল ৬টি উইকেট। এমন পরিস্থিতিতেও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কণ্ঠে আফসোস দেখা গেলো, নিউজিল্যান্ডকে ১৯০ রানের মধ্যে বেধে রাখতে না পারা নিয়ে। তাতে হয়তো বাংলাদেশের নাকি জেতার সুযোগ ছিল।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘১৯০ রান হলে সেটি তাড়া করে জেতা যেত। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি উইকেট হারানো ম্যাচ জেতায় কোনো সাহায্য করে না, যা আমরা বারবার করছি।’
তাহলে এত রান কিভাবে হলো? এর ব্যাখ্যাও এসেছে অধিনায়কের কণ্ঠ থেকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সুযোগ ছিল বাউন্ডারিতে, কিন্তু সেটি ছয় হয়ে যায়। আমার মনে হয় বোলাররা ভালো বোলিং করেছে, বোলারদের দোষ দিতে পারছি না। কিছু মিসফিল্ডিং বাউন্ডারি দিয়ে দিয়েছে। একটু পিচ্ছিল ফিল্ডিং ছিল। একটু বেশি বাউন্ডারি হজম করেছি।’
শুরুতেই উইকেট নেওয়ার কারণে রিয়াদ মনে করছেন ম্যাচে সুযোগটা বেশি তাদেরই ছিল। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের সুযোগ ছিল। শুরুতে আমরা উইকেট নিয়েছি, রান রেট সাতের নীচে ছিল। কিন্তু ডেভন যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সে তার সাম্প্রতিক ইনিংসগুলোয় ধারাবাহিকভাবে দারুণ খেলেছে।’
বাংলাদেশের ইনিংসে বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছেন কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধি। তার সফলতার পেছনে নিজেদের ব্যর্থতাতেই দায়ী মনে করছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আসলে, ইশ (সোধি) অভিজ্ঞ। সে কন্ডিশনকে কাজে লাগায় দারুণভাবে। এখানে বল একটু গ্রিপ করছিল। তবে আসলে একই ভুল বারবার করলে হবে না আমাদের, দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের একটু তুলে ধরতে হবে।’
তবুও ইতিবাচক কিছু দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিশেষ করে তরুণদের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটি তরুণদের জন্য ভালো একটি সুযোগ, বিশেষ করে নাইম শেখ, আফিফ, দুজন অভিষিক্ত ছিল আজকে তাদের জন্য। এটি তাদের জন্য সুযোগ বিশ্বকে দেখানোর, তারা কতটা ভালো। হ্যাঁ, আমরা হয়ত সব সময় সব অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের একসঙ্গে পাবো না, কিন্তু আমাদের সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। কাউকে এগিয়ে আসতে হবে এবং দেখাতে হবে যে সে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।’