মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে বেসামরিক সরকারের আমলে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিলেন সামরিক সরকার বিরোধী গোষ্ঠীর এক নেতা। বুধবার (২৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি এই আশ্বাসের কথা জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে।
ডা. সাসা নামে প্রকাশিত ওই পোস্টে বলা হয়, বার্মিজ সেনাবাহিনীর হাতে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।
পোস্টটিতে দাবি করা হয়, মিয়ানমারের মহান ও বীর জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক জেনারেলরা যে যুদ্ধাপরাধ, নৃশংসতা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে সেগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত আমরা ক্ষান্ত হবেন না।
পেশা চিকিৎসক ও সাসা নামে পরিচয় দেওয়া এই নেতা যে গোষ্ঠীর হয়ে কথা বলেছেন সেটিতে ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে এবং তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে অন্তত ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলেছেন, গণহত্যার অভীপ্সা নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যদিও ওই সময়কার বেসামরিক সরকারের নেতা ও দেশটির গণতন্ত্রের আইকন অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকার সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছেন ও গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতেও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত সামরিক অভ্যুত্থানে আগে সেনাবাহিনী তাকে বন্দি করেছে।
বিতর্কিত সামরিক অভ্যুত্থানের পর হতেই রাজপথে বিক্ষোভ করছেন জান্তা বিরোধীরা। দ্য অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স নামের অ্যাক্টিভিস্ট গোষ্ঠী জানিয়েছে, চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭৫ জন জন নিহত হয়েছে।