ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আবারও লকডাউন জারি করছে । আগামী শনিবার থেকে দেশটিতে চার সপ্তাহের জন্য এই লকডাউন কার্যকর হতে যাচ্ছে।
লকডাউনের সময় দেশটির স্কুল, দোকান-পাট (খাদ্য সামগ্রীর দোকান ব্যতীত) ও সেলুন বন্ধ থাকবে। মহামারির প্রথম দফার লকডাউনের এক বছর পর বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রু বলেছেন, ব্রিটেনে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের ধরনটি বেলজিয়ামে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে। এ কারণে দেশের হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগী দ্বিগুণ হয়।
ইউরোপের যে কয়েকটি দেশে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বেলজিয়াম তার মধ্যে অন্যতম। ডি ক্রু বলেন, আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি হয়েছি। আমরা আগেরটি মতো করেই এটি মোকাবিলা করবো। আমরা স্বল্প মেয়াদে কষ্ট করার (লকডাউনের) সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি অত্যন্ত ভারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমরা যদি এটি না করি, তাহলে এর ফল আরও গুরুতর হবে।
বর্তমানে দেশটিতে ১০ জন মানুষ বাড়ির বাইরে একত্রিত হওয়ার নিয়ম থাকলেও লকডাউনের সময় সেই সংখ্যা চারজনে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে লোকজন দেশজুড়ে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনার তৃতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় বেলজিয়ামে সোমবার থেকে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে এবং খুলবে আগামী ১৯ এপ্রিল। লকডাউনের সময় বেলজিয়ামের নাগরিকরা নিত্য-প্রয়োজনীয় নয়; এমন দোকান-পাট, যেমন পোশাকের দোকানে যেতে পারবেন না।
এছাড়া রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানী ব্রাসেলসে কারফিউ জারি থাকবে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে এই কারফিউ কার্যকর থকেবে মধ্যরাত পর্যন্ত।
বেলজিয়ামে করোনা মহামারিতে ২২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যা বিশ্বে মাথাপিছু মৃত্যুর হারে সর্বোচ্চ। গত তিন মাস ধরে দেশটিতে দৈনিক গড়ে প্রায় দুই হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইউরোপের এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।