জাপান সাগরে দু’টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। জাপানি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল দেশটি।
অবশ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনায় উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বা নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরও সেখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জাপান।
এর আগে ইয়েলো সাগরে দু’টি নন ব্যালিস্টিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। পরীক্ষামূলকভাবে ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে হুমকি বলে বিবেচনা করা হয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, এর ফলে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়াও।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার স্বল্প মাত্রার নন ব্যালিস্টিক ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপকে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে মনে করেন না বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তার মতে, এটা পিয়ংইয়ংয়ের ‘স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড’। তার এই বক্তব্যের পরদিনই জাপান সাগরে দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ মূলত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার প্রতি বড় ধরনের অবজ্ঞা। এর আগে নিজেদের সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার কঠোর সমালোচনা করে দেশটি। মূলত সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এরপরই মিসাইল উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং।
এছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। যদিও উত্তর কোরিয়ার দাবি, পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি ওয়াশিংটনের শত্রুতাপূর্ণ নীতি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ বা বৈঠকে রাজি নয় তারা। আর তাই সাম্প্রতিক মিসাইল উৎক্ষেপণকে ওয়াশিংটনের প্রতি পিয়ংইয়ংয়ের বার্তা হিসেবেও ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি