নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়খরা ঘোচানোর দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ক্যাচ মিস, ফিল্ডিং মিসের মহড়ায় তা হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। কয়েক দফা জীবন পাওয়া অধিনায়ক টম ল্যাথামের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি হেসেছে কিউইরা। তাই ম্যাচের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল গোপন করেননি আফসোস, কষ্ট আর হতাশা।
মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭১ রান করে সফরকারীরা। জবাবে ১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ২৭৫ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ওয়ানডের সিরিজ তারা ঘরে তুলেছে ২-০ ব্যবধানে।
মন্থর উইকেটে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ৫৩ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেট তুলে নেয় তারা। ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে এরপর গড়েন লম্বা জুটি। দুর্দান্ত থ্রোতে এর ইতি টেনে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর সব বন্দোবস্ত করে ফেলেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু একের পর এক ক্যাচ ফেলায় সেসব হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি।
অথচ ম্যাচ জেতার পথ তৈরি ছিল বাংলাদেশের। বাঁহাতি ওপেনার তামিমও বলেন সে কথা, ‘আমাদের এই খেলাটা জেতা উচিত ছিল। বোলাররা সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু আমরা সেগুলো লুফে নিতে পারিনি। ক্যাচ পড়ার কথা বলছি আমি। যখন কোনো (জয়ের) পরিস্থিতি তৈরি হয়, আপনাকে শতভাগ সঠিকভাবে কাজগুলো করতে হবে। আমি খুবই হতাশ।’
পারফরম্যান্সে উন্নতি হলেও জয় না পাওয়ার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে, ‘ব্যাটাররা সত্যিই দুর্দান্ত করেছে। (আগের ম্যাচের চেয়ে) আলাদা রকমের উইকেট ছিল এটি। কিছুটা মন্থর ছিল। ২৭১ একটি ভালো স্কোর। কিন্তু সুযোগগুলো আমরা নিতে পারিনি। খুবই হতাশাজনক। (মোহাম্মদ) মিঠুন দুর্দান্ত খেলেছে, মুশিও (মুশফিকুর রহিম) ভালো ছিল। যাই হোক, আমি মনে করি, পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আমরা এখানে আমাদের ক্রিকেটের উন্নতি করতে নয়, জিততে এসেছি।’
শেখ মেহেদী হাসানের হাতে ৫৮ রানে জীবন পাওয়া ল্যাথাম পরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। পূর্ণাঙ্গ না হলেও তাকে আউট করার আরও তিনটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে মুশফিকুর রহিম লুফে নিতে ব্যর্থ হন জিমি নিশামের ক্যাচ। সহজ ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি তিনি। তখন নিশাম ছিলেন ৩ রানে।
দলকে জিতিয়ে ল্যাথাম অপরাজিত থাকেন ১১০ রানে। নিশাম খেলেন ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। পঞ্চম উইকেটে ৭২ বলে ৭৬ রান তোলেন তারা। মূলত, এই জুটিই বাংলাদেশকে ছিটকে দেয় লড়াই থেকে।