ক্রিকেটাঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলে দেয়া সাকিব আল হাসান সোমবার রাত দুইটার পরে ঢাকায় পা রেখেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) লজিস্টিক সাপোর্টের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ওয়াসিম খান এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতেই হঠাৎ দেশে এসেছেন সাকিব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার।
ওয়াসিম খান বলেন, ‘সাকিব রাত ২টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকা আসেন।
বিমানবন্দরে থাকা সাংবাদিকেরা অবশ্য সাকিবকে দেখতে পারেননি। করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকায় এমনিতে আগের মতো কাছে যাওয়া যায় না। তাছাড়া এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সাকিব বের হয়ে যান পেছনের গেট দিয়ে।
সাকিব সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বোর্ডের কয়েক জন কর্মকর্তার ‘দায়িত্বের প্রতি অবহেলা’ নিয়ে মন্তব্য করেন। এরপর বোর্ড থেকে জরুরি সভা ডেকে তার আইপিএল খেলার অনুমতি বাতিলের ইঙ্গিত দেয়া হয়। পরে রবিবার রাতে সাকিব আরও একধাপ এগিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্রকে দেয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমি প্ল্যান করে কিছু বলি না। যা মনে আসে, তা-ই বলি। যা বিশ্বাস করি, তা-ই বলি। যা ঠিক মনে করি, বলে দিয়েছি।’
এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেই ভাবনাও সাকিবের মনে আসেনি, ‘কী প্রতিক্রিয়া হবে, এ নিয়ে ভাবি না। আমি চিন্তা করলে বড় চিন্তা করি। আচ্ছা আপনিই বলেন, আমি যা বলেছি, তাতে কি আমার নিজের কোনো লাভ আছে? নিজের লাভ তো গাধাও বোঝে। আমি ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে কথাগুলো বলেছি। কারও যখন বলার সাহস নাই, আমিই না হয় বললাম। আমার ব্যক্তিগত লাভের জন্য তো বলি নাই। কেউ যদি এটা ভালোভাবে নিতে চায়, তা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। আমরা যদি ভালো করতে চাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি চাই, তাহলে তো আমি আমার কথায় কোনো সমস্যা দেখি না।’
আলাপে উৎপল শুভ্র সাকিব ইস্যুর প্রায় প্রতিটি দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ইচ্ছা করে এমন বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন কি না, যাতে বিসিবি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়। তখন রাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে খেলা ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হতে পারেন।
এ বিষয়ে সাকিবের উত্তর এমন, ‘তাই নাকি? এমন কথা হচ্ছে নাকি! কারও মনে যদি এমন চিন্তা এসে থাকে, তবে তা ভুল চিন্তা।’