spot_img

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অবশ্যই পরুন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২ থেকে ১০ শতাংশে উঠেছে। এ অবস্থায় জনগণের সহযোগিতা না পেলে সংক্রমণ কমানো সম্ভব নয় বলেই মনে করেন মন্ত্রী। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশেই করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো-কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের এই আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবেলায় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে বাংলাদেশ। দেশে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতাও আছে। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনার সেই লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ওষুধে যেভাবে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যেভবে আধুনিক ফ্যাসেলিটি তৈরি হয়েছে, আমাদের ওষুধ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। দেশের চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ ওষুধ দেশেই তৈরি হচ্ছে। আমরা ভ্যাকসিনও যাতে তৈরি করতে পারি সেই নির্দেশনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

অসচেতনতার কারণেই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, পুরো দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিয়ে-শাদী হচ্ছে, ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে, পিকনিক হচ্ছে- এখানে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যার ফলে সংক্রমণ এখন ২ থেকে ১০-এ উঠে গেছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এম এ মান্নান বলেন, করোনাকালে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করছে স্বাস্থ্যখাত। বর্তমান সিএমএসডি কেনাকাটায় ১৯০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এম এ মান্নান বলেন, এতোটা স্বচ্ছতা এবং এতোটা আন্তরিকতার সাথে এই সিএমএসডি কোনো কালেই ছিল না। আমি আরো বলতে চাই, মন্ত্রণালয়েও কোনো কালে ছিল না।

সিএমএসডি পরিচালক জানান, করোনা চিকিৎসায় আইসিইউসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণই মজুদ আছে।

সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, যখনই হাসপাতালগুলো যাচ্ছে তখনই আমরা সরবরাহ করতে সক্ষম। আগামী একবছর যদি করোনার প্রকোপ অব্যাহত থাকে আমরা তা মোকাবেলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি।

অনুষ্ঠান শেষে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার জন্য সবাই মোবাইল নম্বরে এসএমএস পেয়ে যাবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। যাদেরকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করেই আমরা টিকার পরবর্তী কার্যক্রমকে প্রসারিত করেছি।

আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা নিয়ে স্বাস্থ্য সচিব এম এ মান্নানের বক্তব্য কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও পরে তার অফিস থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়।

জানানো হয়, পরবর্তীতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়তোবা নেয়া হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনরকম সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে আসেনি।

সর্বশেষ সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

অস্ট্রেলিয়ার সরকার পরিকল্পনা করেছে, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এক্স, টিকটক, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম-সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ