spot_img

গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুলিশের ওপর নির্ভরতা অনেক বেশি: আইজিপি

অবশ্যই পরুন

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুলিশের ওপর নির্ভরতা অনেক বেশি। জেন্ডার পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে গত ১০/১২ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান সিভিল সার্ভিস সিস্টেমে যুগের চাহিদা পূরণ করা কঠিন। তাই পুলিশে সিনিয়র অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার চিন্তা করা হচ্ছে।

সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং : অ্যান অ্যাপ্রোচ অব বাংলাদেশ পুলিশ অ্যান্ড রোল অব বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিওএন)- শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বিপিডব্লিওএন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপিডব্লিওএন-এর সভাপতি ডিআইজি আমেনা বেগম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। বিশেষ করে গত ১২ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। এগিয়েছি অনেক দূর, যেতে হবে বহুদূর।

তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করছি। এর অন্যতম কারণ অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ। দারিদ্রের শেকল ভাঙার কারিগর হচ্ছে নারীরা।

পুলিশে উইমেন পুলিশিং বাড়ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জাপান পুলিশে মাত্র ৭ শতাংশ নারী। আমাদের ৭.৯ শতাংশ। আমরা টার্গেট করেছিলাম ২০১৫ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে পৌঁছব। সেটা পারিনি। আমি বিডিডব্লিওএনকে পরামর্শ দিয়েছি স্কুল-কলেজে গিয়ে পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য প্রেজেন্টেশন দিতে।

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে একেক সম একেক ধারণার প্রচার পেয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, অনেকে মনে করেন পুলিশ সিকিউরড জব নয়, এই ধারণা আমাদের ভাঙতে হবে। পুলিশিং কীভাবে আধুনিক ও মানবিক করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। তবে সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা অন্য দেশ থেকে পুলিশিং সিস্টেম কাট কপি করতে চাই না। কারণ আমাদের দেশের অবস্থা, সমাজব্যবস্থা, ঐতিহ্য সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে অনেক তাপ সেখানে অনেক আলো আছে। লাইট বাড়াতে হলে তাপ বাড়াতে হবে। বিমানবন্দরে গেলেই হয়রানি হতে হতো। সেখানকার চিত্র বদলে গেছে। সেখানে পুলিশ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খুব ভাল কাজ করছে।

আইজিপি বলেন, জেন্ডার পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে গত ১০-১২ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা অনেক আগেই উইমেন সাপোর্ট সেন্টার চালু করেছি। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু করেছি। শুধু ভিকটিম নারী না, তার বাচ্চারও দেখভাল করছে পুলিশ।

কোয়ালিটি পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দরকার কোয়ালিটি পুলিশিং। আমরা চেষ্টা করব ৭ শতাংশ থেকে পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য। আমরা পুলিশের যোগদানের পলিসি পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হলে অনেক পরিবর্তন আসবে।

সর্বশেষ সংবাদ

সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ৬০ দিন

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ