মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশে দেশে চলছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ শনিবার করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। পর্তুগাল, পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স ও সুইজারল্যন্ডসহ আরো অনেক দেশ বিক্ষোভে উত্তাল ছিল।
বিক্ষোভকারীরা করোনা বিধিনিষেধকে মৌলিক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সরকারের একনায়ক মনোভাব বলে এর সমালোচনা করেন।
বিক্ষোভকারীদের পোস্টারে লেখা ছিল, করোনা সন্ত্রাস বন্ধ করুন, করোনাভাইরাস একটি প্রতারণা ও মিথ্যা ধোকা ইত্যাদি।
পর্তুগালের রাজধানীতে বিক্ষোভে তিন হাজারের বেশি মানুষ একত্রিত হয়েছিল। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে পার্ক এদুয়ার্দো সপ্তমী থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে রসিও স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। এই সময় বিক্ষোভকারীদের কারো মুখে মাস্ক ছিল না। তারা নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রাখেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা চলমান বিক্ষোভে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পীরা গান পরিবেশন করেছেন।
লন্ডনেও করোনা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। এই সময় ৩৬ জন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ দিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে জার্মানির কেসেল শহরে প্রায় ২০ হাজার বিক্ষোভকারী অংশ নেয়। তাদেরকে থামাতে পুলিশ পেপার স্প্রে, জলকামান ও লাঠি ব্যবহার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ডজনখানেক বিক্ষোভকারীকে তারা গ্রেফতার করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এমতাবস্তায় চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল বলেছেন, জার্মানিতে আবারো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
এ দিকে ফিনল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৪০০ মানুষ রাজধানী হেলসিন্কিতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে। ফিনল্যন্ডের আরো কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। তবে প্রত্যেকটি বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ।
অন্য দিকে রোমানিয়ার রাজধানী বুচারেস্টে ভ্যাকসিন বিরুদ্ধে সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী অংশ নেয়। এই সময় তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ব্লক ভ্যাকসিন, স্টপ দ্যা ফিয়ার’।
সুইজারল্যন্ডে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। ভিয়েনায় এক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। ফ্রান্সের প্যারিসে এবং পোল্যান্ডের ওয়ার্শো শহরেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ভ্যাকসিনেটিং কিলস’।