প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের কয়েক সপ্তাহ আগেই ১০ কোটি নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর সাথে সাথে হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা এখন কানাডা এবং মেক্সিকোতে লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারে।
বাইডেন প্রশাসন কানাডা এবং মেক্সিকোতে সীমিত সংখ্যক ভ্যাকসিন ‘ঋণ’ হিসাবে দেয়ার পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের তার নির্ধারিত ১০০ দিনের আগেই ১০ কোটি নাগরিককে ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে।
বাইডেন বলেন, ‘আমি আমাদের প্রশাসনের ৫৮ দিনের মধ্যে এই ঘোষণা দিতে গর্ব বোধ করছি যে, আমরা আমাদের লক্ষ্যটি অর্জন করতে পেরেছি।’ তিনি আগামী সপ্তাহে একটি নতুন টিকাদান লক্ষ্য উন্মোচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিজেদের অব্যবহৃত অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৪০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা মেক্সিকো ও কানাডাকে দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন মেক্সিকোকে ২৫ লাখ এবং কানাডাকে ১৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। তবে এই পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের তিনটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। এগুলো হলো, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন এখনও দেয়নি এফডিএ। তবে এই টিকার বেশ কিছু পরিমাণ ডোজ মজুত করেছে দেশটি। অব্যবহৃত এসব টিকা অন্যান্য দেশকে দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে। মেক্সিকো ও কানাডাকে ঋণ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। শর্ত থাকবে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একই পরিমাণ টিকা দিয়ে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, ‘এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এটাই। প্রতিবেশীদের জন্য টিকা নিশ্চিত করা গেলে ভাইরাস রোধ করা যাবে…মহামারি অবসানে এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ইতোমধ্যে আরও বেশ কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকার ডোজ চেয়েছে, কিন্তু আপাতত মেক্সিকো ও কানাডা ছাড়া আর কাউকে তা দেয়ার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। জেন সাকি বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আবেদন পেয়েছি আর অবশ্যই এই আলোচনা চালিয়ে যাবো।’ মেক্সিকো ও কানাডাকে কেন বেছে নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিবেশী, আমাদের সহযোগী।’ চুক্তি অনুযায়ী আগামী এপ্রিল নাগাদ তিন কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা যুক্তরাষ্ট্রকে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। এই মূহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের সংগ্রহে রয়েছে ৭০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
সূত্র: এপি।