রাজপরিবারের সদস্যরা বোধহয় ক’দিন পরপরই খবরের শিরোনাম হতে ভালবাসেন। বিতর্ক হোক কিংবা বিচিত্র সব কর্মকান্ড, তাদের নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই।
গতকালই যেমন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব ক্যামব্রিজ বাংলাদেশি এক প্যারামেডিকের বাবার সাথে ফেসটাইমে (ভিডিও কলের জনপ্রিয় অ্যাপ) অপ্রত্যাশিত আড্ডা দিয়ে আবার আলোচনায় চলে এলেন।
হাসপাতালের কর্মীরা মহামারীর কঠিন সময়টাকে কীভাবে মোকাবেলা করেছেন, তাই ঘুরে ঘুরে দেখতে এ দম্পতি উপস্থিত হয়েছিলেন পূর্ব লন্ডনের নিউহাম অ্যাম্বুলেন্স স্টেশনে।
সে হাসপাতালের নারী কর্মী জয় খানের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশে তার বাবা আবুকে ফোন করতে চান। লকডাউনের ফলে আবুকে দীর্ঘদিন পরিবার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে হয়েছে।
কিছুক্ষণ পর দেখা যায় ৫,০০০ মাইল দূরদেশে অবস্থানরত আবুর সাথে আড্ডা জুড়ে দিয়েছেন খোদ প্রিন্স উইলিয়াম এবং তার স্ত্রী কেট!
ডিউক অব ক্যামব্রিজ তাকে বলেন, “আপনি নিশ্চয়ই আপনার মেয়েকে নিয়ে অত্যন্ত গর্ব বোধ করেন। সে আপনার সাথে শীঘ্রই দেখা করতে মুখিয়ে আছে”।
আনন্দে আত্মহারা মিস খান এরপর তার বোন নাসরিন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দাদা বাহারামকেও ফোন দেন।
ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন বলেন, “আমরা আশা করছি শীঘ্রই আপনারা সবাই সবাইকে দেখতে পাবেন”।
হাসপাতালের কর্মী মিস খান দীর্ঘ এই ভার্চুয়াল আড্ডা শেষ করার তাড়া দিতে থাকলে উলটো রসিকতা করে প্রিন্স বলে উঠেন, “আমরা চাইলে কিন্তু আরও কিছুক্ষণ এই পারিবারিক কথাবার্তা চালিয়ে যেতে পারি”।
বৃহস্পতিবারের এই সফরে ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক, তাদের সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কেও খোঁজ নেন।
এই সফরের ঠিক আগেই মার্কিন টেলিভিশন উপস্থাপক গেইল কিং প্রকাশ করেন যে, ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি অপরাহ উইনফ্রে এর অনুষ্ঠানে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে তার বাবা এবং ভাইয়ের সাথে কথা বলেছেন। তবে তাদের সে কথোপকথন যে খুব একটা ‘ফলপ্রসূ’ ছিল না, সেটিও উল্লেখ করেন উপস্থাপক।
এদিকে ভ্যানিটি ফেয়ারকে বক্তব্য দেয়া এক সূত্র মতে, রাজপরিবারের ভেতর এখন ভীষণ উদ্বেগ কাজ করছে এবং তাদের অভিযোগ, ডিউক এন্ড ডাচেস অব সাসেক্স তাদের এমন সব মন্তব্যের মধ্য দিয়ে শুধুই ‘সোপ অপেরার জন্য আলোচনার খোরাক যুগিয়ে যাচ্ছেন’!
সূত্র জানায়, “দুই পক্ষের মধ্যেই আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে যা এই বিষয়টি থেকে উত্তরণ কঠিন করে তুলছে”।
“উইলিয়াম উদ্বিগ্ন যে, তিনি তার ছোট ভাইকে যাই বলেন না কেন, আমেরিকান গণমাধ্যমে সেটি এখন বিকৃত করে প্রকাশ করা হবে”।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ