মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে খুনি বলায় ওয়াশিংটন থেকে রুশ রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। আলোচনার জন্য তাকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে বুধবার (১৭ মার্চ) জানিয়েছে দেশটি।
এর আগে এবিসি নিউজকে দেওয়া বিশেষ একটি সাক্ষাৎকারে ভ্লাদিমির পুতিন একজন ‘খুনি’— এই মূল্যায়নে তিনি একমত বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে মস্কোর হস্তক্ষেপের কারণে ‘পুতিনকে মূল্য দিতে হবে’ বলেও জানান ৭৮ বছর বয়সী বাইডেন।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠায় পুতিন প্রশাসন। তবে দেশটি জোর দিয়ে বলেছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতি প্রতিরোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভকে মস্কোতে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে কী কী করা উচিত এবং কোথায় কোথায় যাওয়া উচিত; সেটা নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্লেষণ করতেই তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’
ওয়াশিংটনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড নজরে আছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর পক্ষ থেকে আসা চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে কঠোর অবস্থানেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এছাড়া ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকেই রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বিরোধীদের ওপর মস্কো সরকারের নির্মম হওয়ার অভিযোগে পুতিনকে তিনি ‘একজন খুনি’ হিসেবে মনে করেন কি না, এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে জো বাইডেন তখন বলেন যে, ‘আমি (পুতিনকে খুনি) মনে করি।’
বাইডেনের এমন মন্তব্য অবশ্য পুতিনকে নিয়ে তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলা থেকে বিরত ছিলেন।
রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভিয়াশেস্লাভ ভ্লোদিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘বাইডেন আমাদের দেশকে অপমান করেছেন। কারণ পুতিনের বিরুদ্ধে আক্রমণ মানে রাশিয়ার ওপর আক্রমণ।’
সূত্র: এএফপি