আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর অস্ত্রের গুলিতে ২৬ জন মায়ের বুক খালি হয়েছে।’
বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বসুরহাট জিরোপয়েন্টে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘মওদুদ সাহেব হলেন জাতীয় নেতা। যার পরিচয়ে আমরা পরিচিত হতাম। এমন জাতীয় নেতা আমরা আর কখনো পাব না। অন্যরা হলো টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, খুনি। নিজাম হাজারী মানুষ খুন করেছেন। একরামের (একরামুল করিম চৌধুরী) অস্ত্রের গুলিতে নোয়াখালীতে ২৬ জন মায়ের বুক খালি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নেত্রী আমাকে বলেছেন, “তুমি শান্ত থাক।” আমি শান্ত আছি, আমি কারও কাছে বলব না। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দেব। সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত করে রেখেছি, সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেব।’
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, ‘আমি কোনো বাটপার নেতার পেছনে রাজনীতি করি না। আমার ওপর মানুষের দরদ আছে। যত ঘটনা ঘটেছে, সব ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। পিবিআইকে মামলা দিয়েছে। পিবিআই আগে কী বলেছে, এখন কী বলে; বুঝি না। এসপি সাহেব পিবিআইকে প্রভাবিত করে মামলা ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন।’
কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, ডিবির ওসি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, এসি ল্যান্ড, ওসি ও ওসিকে (তদন্ত) প্রত্যাহার না করলে যতই চেষ্টা করুক কোম্পানীগঞ্জে শান্তি আসবে না। এটা স্পষ্ট।’