প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার প্রকোপ কমলেই স্কুল খুলে দেয়া হবে। করোনার কারণে স্কুলে যেতে না পারলেও ঘরে বসে পড়াশোনা করতে হবে এবং প্রতিটি শিশুর লেখ-পড়া নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার (১৭ মার্চ) টুঙ্গিপাড়া জাতীয় শিশু কিশোর দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু করোনা শিথিল হলেই স্কুল খুলে দেওয়া হবে। করোনার মধ্যে শিশুরা ঘরে বসেই পড়াশোনা ও খেলাধূলা করবে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন দেশে শিশুরা খেলাধূলা করবে। আমি প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য বলেছি। স্টেডিয়াম তৈরির কাজও শুরু হয়ে গেছে। শিশুরা প্রাণ ভরে খেলাধূলা করবে।
আজকের শিশুদেরকে আগামী দিনের ভবিষ্যত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের কল্যাণেই দেশের সবকিছু করে যাচ্ছি।
বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সে সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিশুর জন্যই সবকিছু। যা কিছু করে যাচ্ছি; সবকিছু শিশুদের কথা চিন্তা করেই। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। কিন্তু এখানে থেমে থাকলে হবে না। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্য সব পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করে যাচ্ছি।’
‘‘আমরা একদিন থাকবো না। আমাদের পর অন্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। ভবিষ্যতে যারা আসবেন, তারা যেন আমাদের রেখে যাওয়া নীতিগুলো নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে সেভাবে সব প্রস্তুত করছি।’’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিশুরা যেন আগামীতে দেশের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে। শিশুরা যেন সামনে নিজেরা নিজেদের সকল যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যেতে ও দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। আমি চাই আমাদের শিশুরা পড়ালেখা করে ভবিষ্যত উজ্জ্বল করুক ও দেশের জন্য প্রস্তুত হোক।’
প্রধানমন্ত্রী কবি সুকান্তের কবিতা থেকে পাঠ করে তার বক্তব্য শেষ করেন।
কবির ভাষায় তিনি বলেন, ‘চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’