বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ হাজার বীর নিবাসসহ ৬টি প্রকল্প অনুমোদন হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। প্রকল্পগুলোতে প্রায় ৫ হাজার ৬১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা খরচ হবে। তার মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে ৫ হাজার ৫১৯ কোটি ৮৭ লাখ, বিদেশ থেকে ঋণ নেবে ৫৭ কোটি ৫২ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪২ কোটি ৭ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অবস্থান নিয়ে একনেকে অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে উপহার হিসেবে বীর নিবাসগুলো দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা একনেক সভায় অংশ নেন।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বারী সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (মহানগর সংশ্লিষ্ট) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে খরচ হবে ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। পুরো অর্থই সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করা হবে। দেশের ৬৪টি জেলার সব উপজেলা ও মহানগরে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।
প্রকল্প প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ, অফিস সরঞ্জামাদি ক্রয়, আউট সোর্সিং সেবা ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয়, সম্মানি/পারিতোষিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ইত্যাদি কেনা।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামত হলো, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করা সম্ভব হবে। একনেক সভায় এটিসহ ৬ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ৬ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা।