মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি দশ দিন পিছিয়ে দিয়েছে সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত দেশটির এক আদালত। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
একদিনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৪৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার একদিন পর সোমবার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও কিছু এলাকায় মার্শাল ল জারির মুখে আদালতের এমন সিদ্ধান্তের খবর আসলো।
সু চি র প্রধান আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলার শুনানি আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছে আদালত।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর বন্দি নেত্রী সু চির সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভিডিও শুনানিতে ওই আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
সু চি র আইনি দলের প্রধান আইনজীবী খিন মং জাও সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, অং সান সু চির ওই মামলার শুনানি আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছে আদালত।
আইনজীবী খিন মং ঝাও বলেন, ‘এখানে কোনো ইন্টারনেট নেই। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আমরা ভিডিও কল করতে পারিনি।’
অভ্যুত্থানের দিন প্রথম প্রহরেই সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে এরপর কখেনো প্রকাশে দেখা না গেলেও এখন পর্যন্ত সামরিক জান্তারা তার বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে রোববার সর্বাধিক প্রাণহানির পর সোমবারও মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ের সঙ্গে মধ্যাঞ্চলীয় শহর মিনগিয়ানের রাস্তায় বিক্ষোভ চলছে। আজকের বিক্ষোভে আরো ছয় জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আঠারো বছরের এক তরুণ বিক্ষোভকারী রয়াটর্সকে বলেছেন, ‘তারা (নিরাপত্তা বাহিনী) আমাদের গুলি করেছে। এক মেয়ের মাথায় ও এক ছেলের মুখে গুলি করেছে তারা। আমি তাদের মরে যেতে দেখেছি।’
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে, মিয়ানমারের বিক্ষোভ এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১২০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।