মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর লুকিয়ে থাকা রাজনীতিবিদরা ‘নতুন সরকার’ গঠনের দাবি করে সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ”এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।”
একদল আইন প্রণেতাকে নিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন থান, যারা গত মাসের অভ্যুত্থান মেনে নেননি। তারা নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করছে।
গত নির্বাচনে নির্বাচিত এসব সাংসদরা স্বঘোষিত বেসামরিক সরকার ঘোষণা করে তাদের বৈধতা দাবি করেছেন। স্বঘোষিত সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মান উইন খিয়াং থান শনিবার ফেসবুকে প্রকাশ্যে ভাষণে বিপ্লবের ডাক দেন।
এনএলডির যে এমপিরা গ্রেফতার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ), যার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মান উইন খিয়াং থান। মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ।
খিয়াং থান বলেন, এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বঘোষিত সরকার আইন তৈরির চেষ্টা করছে এবং জন প্রশাসন পরিচালিত হবে অন্তর্র্বতী জন প্রশাসন টিম দ্বারা।
এদিকে মিয়ানমারে সেনা শাসনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে শনিবার অন্তত আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে ৮০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সু চিকেও গ্রেফতার করেছে সামরিক কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় পেয়েছিল এনএলডি, তবে সামরিক বাহিনীর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা