বাংলাদেশ বিমানের বহরে নতুন করে যুক্ত হওয়া উড়োজাহাজ আকাশতরী ও শ্বেতবলাকার উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বিমান দুটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’ উড়োজাহাজ দুটির নাম রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে কেনা ৩টি উড়োজাহাজের মধ্যে ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’ যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অত্যাধুনিক এই ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ দুটি বহরে যুক্ত করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে ফ্লাইট চলাচল বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
কানাডার এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ খুব ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নে সক্ষম। এটি অল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন ও মসৃণ উড্ডয়নের জন্য বিখ্যাত।
এ মডেলের উড়োজাহাজগুলোতে কেবিন নয়েজ সাপ্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিবেশবান্ধব এবং অধিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ উড়োজাহাজ দুটিতে রয়েছে হেপা (HEPA) ফিল্টার প্রযুক্তি, যা মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করে ভেতরের বাতাসকে বিশুদ্ধ করে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে পৌঁছায় আকাশতরী উড়োজাহাজ। পরে গত ৪ মার্চ তৃতীয় ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ শ্বেতবলাকা দেশে আসে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে বিমানের বহরে সম্পূর্ণ নতুন ও অত্যাধুনিক ১৩টি নিজস্ব উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং ৫টি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ।