শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে তরুণ ও দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। তাই এ লক্ষেই শেখ হাসিনা সরকার শিল্প খাতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোনো কিছুর অভাব নেই। অভাব রয়েছে দক্ষ মানবসম্পদের। দেশের তরুণ সমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের ভিশন পূর্ণ হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রায় ৯শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জের ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের আধুনিকায়ন উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজিত ওই মতবিনিময় সভায় শিল্পমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। শ্রমিকরা যদি সততার সাথে কাজ করেন তাহলে আমাদের দেশ সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রীর যে অঙ্গীকার, সে লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করব। প্রতিটি শিল্প কারখানায় যদি উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে বেকার যুবকদের কাজে লাগিয়ে শিল্প এবং কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন সম্ভব।
বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম, সাবেক দোয়াবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী (বীর প্রতীক) প্রমুখ।
সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের লাভজনক শিল্প কারখানাগুলোকে দলীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করে একের পর এক ধ্বংস করে দিয়েছিল। শ্রমিকদের পেটে লাথিও মারা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সেই বন্ধ কারখানাগুলোকে চালু করে আবার শ্রমিকদের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা করে। একই সাথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।