নাজিমউদ্দিনের ব্যাট হাসল আবার। ফিফটিও পেলেন ডানহাতি ওপেনার। তবে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে জয়ের মুখ দেখা হলো না বাংলাদেশ লিজেন্ডস দলের।
বুধবার রায়পুরে শ্রীলাঙ্কা লিজেন্ডসের বিপক্ষে ৪২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
টুর্নামেন্টে মোহাম্মদ রফিকের দলের এটি টানা তৃতীয় হার। এর আগে ভারত লিজেন্ডস ও ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ।
উপুল থারাঙ্গার অপরাজিত ৯৯ রানে বড় স্কোর গড়ে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ করে দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় ৬ উইকেটে ১৩৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
এদিন নাজিমউদ্দিনের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন মেহরাব হোসেন অপি। প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টে খেলতে নামেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান।
নাজিমউদ্দিন-অপির শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে দুজন দলকে এনে দেন ৫৪ রান। ৭.২ ওভারে ৫৭ রানে ভাঙে এই জুটি।
অপি ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করে দিলশানের শিকার হন। এরপর নাজিমউদ্দিন একপ্রান্তে ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল।
হান্নান সরকার ২, মোহাম্মদ রফিক ৪ ও মুশফিকুর রহমান বাবু ৫ রানে ফিরলে ৮৫ রানে ৪ উইকেটে পরিণত হয় বাংলাদেশ। ১৩.২ ওভার খেলে ফেলায় ততক্ষণে সমীকরণও হয়ে গেছে কঠিন।
নাজিমউদ্দিনের সঙ্গে খালেদ মাসুদ পাইলট যোগ দিলেন। তবে তাদের ব্যাটিংয়ে আশার ঝিলিক পাওয়া যায়নি। ১৯তম ওভারে আরো দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪১ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে আউট হন নাজিমউদ্দিন। রাজিন সালেহ ফেরেন ৩ বলে ৫ রান করে।
পাইলট ২২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থেকে যান। শেষ দুই বলে চার ও ছক্কায় ম্যাচ শেষ করেন তিনি। তবে তার সুফল পাওয়া যায়নি।
এর আগে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক তিলকারত্নে দিলশান টস জিতে ব্যাটিং নেন। টুর্নামেন্টে তৃতীয় ম্যাচে এসে আগে বোলিং করে বাংলাদেশ। শুরুর ৫ ওভারে বিপক্ষকে ভালোই আটকে রাখেন বাংলাদেশ স্পিনাররা। ৫.৩ ওভারে ৩৭ রান তোলে লঙ্কানরা।
দিলশান ও সনাথ জয়াসুরিয়া ভয়ংকর হতে পারেননি। দিলশান ৩৩ করে আউট ও জয়াসুরিয়া ৪ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। তবে থারাঙ্গাই পুরো ইনিংস টেনে নেন। ৪৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৯ করেন তিনি।
এ ছাড়া ২৪ করেন চামারা সিলভা। বাংলাদেশের রাজিন, শরিফ ও রফিক একটি করে উইকেট নেন।
শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ লিজেন্ডস।