এ যেন কোন হিন্দি সিনেমা। কারাগারের ভবন থেকে লাফ। এরপর ট্রেনে চেপে সোজা বাড়ি। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর থেকে পালিয়ে যাওয়া খুনের আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেল রেলে চড়ে নরসিংদী যাওয়ার এমন বর্ণনা পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানায় আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।
তিনি বলেন, শনিবার ফরহাদ হোসেন রুবেল প্রথমে কারাগারের কর্ণফুলী ভবনের নিচে নামেন। সেখানে একটি পানির হাউসে চোখে ও মুখে পানি দেন। অতঃপর ডান পাশের গেইট দিয়ে বেরিয়ে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ গজ দূরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ৪ তলায় উঠেন। আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের সময় ওই ভবনের ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা প্রাচীনের বাইরে চলে যান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, পরে রেল যোগে ঢাকা হয়ে নরসিংদী পালিয়ে যান কয়েদি রুবেল।
কয়েদি রুবেল কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ৫টি টিম গঠন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নরসিংদীর রায়পুরায় ফরহাদ হোসেন রুবেলের ফুফুর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
৪ তলা থেকে লাফ দেওয়ায় কয়েদি রুবেল আহত জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ৬০ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার কারণে তিনি আহত হয়েছেন। তার শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি অভ্যাসগত ভাবে ছিনতাইকারী।
ব্রিফিংয়ে কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন বলেন, কারাগারের বিভিন্ন স্থান আগে থেকে পরিচিত ছিলো রুবেলের কাছে। তিনি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে ছিলেন। কারাগারে গণনা করার সময় তালা খুললে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান।
কয়েদি রুবেলকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হলে রিমান্ড আবেদন করা হবে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার পদ থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া রফিকুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ফরহাদ হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় তিনটি ও ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা রয়েছে।