মিয়ানমারের সর্ববৃহৎ শহর ইয়াঙ্গুনের একটি মিডিয়া অফিসে হানা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, সেনা অভ্যুত্থান টিকিয়ে রাখতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্মমভাবে বিরোধী মত দমন অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘মিয়ানমার নাউ’নামে একটি গণমাধ্যম অফিসে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে কয়েকটি কম্পিউটার জব্দ করেছে। এছাড়া সংবাদ কক্ষের ডাটা সার্ভার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে। গণমাধ্যমটির কর্মীরা জানান, সেনা শাসন দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে অনুমান করে পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে গত ২৮ জানুয়ারি ওই অফিস খালি করা হয়।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর গণমাধ্যম অফিস সরাসরি জান্তার রোষানলে পড়ল। গত চার রাত আগে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ লাইভ স্ট্রিমিং করার সময় ‘কায় জোন নোয়ে’ নামে ‘মিয়ানমার নাউ’ এর একজন রিপোর্টারকে আটক করা হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ (এপি) বিভিন্ন মিডিয়ার অন্তত দুই ডজন সাংবাদিককে আটক করেছে জান্তা। এর আগে রবিবার (৭ মার্চ) মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ইয়াঙ্গুনের কয়েকটি হাসপাতালে তাণ্ডব চালায়।
সোমবার ইয়াঙ্গুনে শুধুমাত্র কয়েকটি চায়ের দোকান ছাড়া অধিকাংশ শপিং, ফ্যাক্টরি বন্ধ দেখা গেছে। এদিন বিক্ষোভে মিতকিয়ানা সড়কে গুলিতে চার বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
গত মাসে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংস বিক্ষোভ এবং ধর্মঘট চলছে। প্রতিবাদ ঠেকাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। সেনা বাহিনীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের চাপ অব্যাহত রয়েছে। ইউরোপীয় সেনাবাহিনী পরিচালিত ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।