প্রতি বছর রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ ও আদার ঘাটতি দেখা যায়। এ সুযোগে মুনাফালোভীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে ফেলে। তাই রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় এ ছয়টি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রাখা হয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) এ বিষয়ে সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রমজানকে সামনে রেখে ছয়টি নিত্যপণ্য নিয়ে আজকের মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। রমজানে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ ও আদা জরুরি প্রয়োজন হয়। এগুলো নিয়ে আজকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদকে আশ্বস্ত করেছে, আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা, সে তুলনায় পর্যাপ্ত মজুত আছে।
তিনি বলেন, ‘টিসিবি যেটা আমদানি করছে, তা রোজার অনেক আগেই দেশে চলে আসবে। যে ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রোজার সময় বিশেষ প্রয়োজন হয়, সেগুলো নিয়ে অসুবিধা হবে না। এবার আমরা কমফোর্টেবল অবস্থায় আছি।’
তাহলে এবার এসব পণ্যের দাম বাড়বে না, সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দাম বাড়ার বিষয়টি অনেকটা বাজারের ওপর নির্ভর করে। আশা করা যাচ্ছে সাপ্লাইয়ের কোনো ঘাটতি হবে না। সাপ্লাই বেশি হলে দাম এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরে আপনাদের বিস্তারিত জানাবে।’