গতবছর ব্রিটেনে ১৫ লাখের বেশি নারী অভ্যন্তরীণ সহিংসতার শিকার হয়েছেন। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর ব্রিটেনে ১৫ লাখের বেশি নারী তাদের স্বামী, বয়ফ্রেন্ড,অথবা সাবেক স্বামীর হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের রিপোর্টে বলা হয়, প্রায় ৮৮৮ জন নারী তাদের বর্তমান পার্টনারের দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, সম্পর্ক ছেদের প্রথম মাসে নিহত হয়েছেন ১৪২ জন নারী।
এক পুলিশ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত যখন যুক্তরাজ্যে কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেয়া হয়; এই সময় নারীদের গৃহে হেনস্তা শিকারের মাত্রা ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের পুলিশ ফেডারেশন শুধুমাত্র গত বছরই ১৭ লাখের বেশি নারীর প্রতি অভ্যন্তরীণ সহিংসতার মামলা রেকর্ড করেন। এই সময়ে জাতীয় সহিংসতা হেল্পলাইনে কলের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
যুক্তরাজ্যের নারীদের রক্ষার জন্য কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন, নারী এবং স্ত্রী লিঙ্গের মানুষ হত্যার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এমন একটি সংগঠন ‘ফেমিসাইড সেনসাস’ ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংগ্রহ করা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই দশ বছরে যুক্তরাজ্যে ১ হাজার ৪২৫ জন নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক আরেকটি সংগঠন ‘নিয়া এন্ডিং ভায়োলেন্স’ জানিয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম দুই মাসে ২৫ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, স্ত্রী লীঙ্গের মানুষেদের হত্যার সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থার কোনো সম্পর্ক নেই। সবথেকে সহিংসতার শিকার হন ২০ থেকে ২৪ বছরের মেয়েরা। আবার বিবাহিত নারীদের থেকে ডিভোর্সড নারীরা বেশি সহিংসতার শিকার হন।