ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার (৮ মার্চ) এই রায় দেওয়া হয়। আর এর মাধ্যমে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তুমুল জনপ্রিয় এই বামপন্থি নেতা আবারও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রায়ে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এডসন ফ্যাসিন বলেছেন, লুলা ডি সিলভাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করার এখতিয়ার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কুর্তিবা শহরের আদালতের নেই। তাই রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ফেডারেল কোর্টের কাছে সেই বিচারককে পদত্যাগ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রায়ে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে সাবেক এই জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের সকল রাজনৈতিক অধিকারও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তিনি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন। ওই নির্বাচনে বর্তমান ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোও প্রার্থী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়।
২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন ৭৫ বছর বয়সী বামপন্থি লুলা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বিরোধীরা। অপারেশন কার ওয়াশ নামে ওই কেলেঙ্কারিতে জেল হয় ব্রাজিলের অনেক ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারও। ২০১৮ সালে ১২ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে আদালতে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন লুলা ডি সিলভা। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করারও ঘোষণা দেন তিনি। একইসঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: আলজাজিরা