পৃথিবীজুড়ে প্রকট হচ্ছে নানা প্রকার বৈষম্যের দেওয়াল। সম্পদ বৈষম্য থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টির মতো নানামুখী চ্যালেঞ্জে দিন দিন কঠিনতর হয়ে পড়ছে বৈশ্বিক পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের ধারণা। তবে কিছু দেশের উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, সঠিকভাবে টেকসই নীতি বাস্তবায়ন হলে তা অর্থনীতি, পরিবেশ আর জনগণ সকল দিকেই কল্যাণ করে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভায়রোমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (ইপিআই) অনুসারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাতীয় টেকসই বিকাশের মানচিত্র করেছে কানাডা ভিত্তিক গণমাধ্যম ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট।
ইপিআই প্রতিবেদন আলোচিত দেশগুলোর জাতীয় পরিবেশ নীতি এবং তাদের ইতিবাচক ফলাফল তুলে ধরা হয়। সেখানে নিশ্চিত করা হয় যে, ইউরোপের ১০টি দেশে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষা ছিল সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘটনা।
ইউরোপের স্ক্যান্ডেনেভিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ইপিআই- এর সকল মানদণ্ডে তারা ধারাবাহিকভাবে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করেছে।
যেমন ইপআই সারণীতে, কার্বন নিঃসরণ গতি হ্রাসে বিশ্ব নেতৃত্ব দিচ্ছে ডেনমার্ক, অন্যদিকে সুইডেন পুনর্ব্যবহার এবং পরিশোধনের মাধ্যমে সবচেয়ে পরিবেশ সম্মতভাবে মোকাবিলা করছে বর্জ্য সমস্যা।
সবমিলিয়ে একটা বিষয় ছিল স্পষ্ট; পৃথিবীর সবুজতর বা সবচেয়ে পরিবেশ সচেতন দেশগুলো টেকসই বিকাশের সকল দিকেই বেশি মনোযোগ দেয়। সেই তুলনায় টেকসই সমাধানে পিছিয়ে থাকা দেশগুলো অর্থনীতি আর পরিবেশ রক্ষার সকল সূচকেই অসম পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে।
সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট