সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে অব্যাহতির আদেশ দেন।
রোববার (৭ মার্চ) আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৪ মার্চ আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান আদালতে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর মামলার বাদী নুজহাতুল হাসানের নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআইকে পুনরায় মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব রহমান এ মামলায় বাদীর অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিনই বাদী আদালতে ওই প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা (নারাজি) প্রকাশ করে পুনরায় তদন্তের আবেদন করবেন বলে আদালতকে জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির এই মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিকসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। তার আচরণের বিষয়টি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের ‘চোর’ আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মতো সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।