মালয়েশিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ও পাইকারি বাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৯৩ বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ।
ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে কুয়ালালামপুরের পুডু এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে ২০৫ জন ও শনিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় সেলাঙ্গরের পাইকারি বাজার থেকে ৮৮ জনসহ মোট ২৯৩ জন বিদেশি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক হামিদি আদম জানিয়েছেন, অ্যাপার্টমেন্টে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন, লেবার ডিপার্টমেন্ট ও কুয়ালালামপুর ডিবি কেএলের ১১০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক হামিদি আদম সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসরত ৪২৫ বিদেশির মধ্যে ২০৩ জনের বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩৩ (আইন ১৫৫) এর ধারা ১৫ (১) (সি) এবং ৬ (১) (সি) এর আওতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও নেপালের নাগরিক। তাদের বেশিরভাগই আশপাশের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
এদিকে শনিবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় দেশটির সেলাঙ্গরের পাইকারি বাজার থেকে ৮৮ বিদেশি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সারডাং জেলা পুলিশ সদর দফতরের (আইপিডি) ৯২ জন সদস্য ও ১০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে চালানো বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের মধ্যে ৭৮ জন মিয়ানমারের ও আটজন বাংলাদেশের নাগরিক। বাকি দুজন নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। গ্রেফতার সবার বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বলে ইমিগ্রেশন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কী কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে সেরডাং জেলা উপপুলিশ প্রধান সুপারিনটেন্ডেন্ট মোহাম্মদ রোসদী দাউদ সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে দেখা গেছে, বেশিরভাগ বিদেশি অবৈধভাবে পাইকারি বাজারে ব্যবসা করছে। তাদের কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। তাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্রও নেই।
জেলা উপপুলিশ প্রধান বলেন, পাইকারি বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিদেশিরা অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছিল। এছাড়া আনডকুমেন্টেড বিদেশি কর্মীরা বাজারে বিশৃঙ্খল সৃষ্টি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতারদের আইপিডি সারডাংএ নেওয়া হয়েছে এবং ধারা ৬ (১) সি অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুসারে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইপিডি বিভাগ।