spot_img

মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাইডেন প্রশাসন

অবশ্যই পরুন

এক মাস আগে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দেশটির সম্প্রতিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে হোয়াইট হাউস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে যে শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন চলছে, সেখানে সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নই এই উদ্বেগের মূল কারণ।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, ‘বার্মার (মিয়ানমার) বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসন উদ্বিগ্ন। সেখানকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

ওইদিনই পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, মিয়ানমারে চলমান গণআন্দোলনে সাধারণ মানুষদের হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘বাকরুদ্ধ’।

তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতি বার্মিজ নিরাপত্তাবাহিনীর সহিংস আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। বার্মিজ সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান— আপনারা সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করুন।’

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থেই ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেশের ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইং এর নেতৃত্বে সংঘটিত ওই অভুত্থানে বন্দি হন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বেশ কয়েকজন সদস্য। এদের মধ্যে সু চির মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রী, প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী ও পার্লামেন্ট সদস্যরাও রয়েছেন।

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের অব্যবহিত পরই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মিয়ানমারের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির রাজধানী নেইপিদো, প্রধান দুই শহর ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় ছাড়াও অন্যান্য শহরে লাখ লাখ মানুষ সড়কে নেমে এসে সামরিক শাসনের অবসান এবং তাদের নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শুরু করেন, যা এখনো চলছে। চলমান এই অসহযোগ আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্যবিভাগসহ সরকারি-আধাসরকারি বিভিন্ন কার্যালয়েও; আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে কর্মবিরতি পালন করছেন এসব কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এদিকে আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার সংযম দেখালেও গত মাসের শেষদিক থেকে অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে থাকে তারা। জাতিসংঘের  তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের গণবিক্ষোভে দেশটির আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক আন্দোলনকারী।

ned prise
নেড প্রাইস

সংবাদ সম্মেলনে নেড প্রাইস বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন— এগুলো বৈশ্বিক মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বার্মার জনগণেরও এই অধিকার প্রাপ্য। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই এই দু’টি অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।’

‘পাশাপাশি বার্মার জনগণের যে দাবি— অং সান সু চির মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, তার প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। তাই বার্মিজ সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান— শান্তিপূর্ণ আচরণ করুন এবং জনগণের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন।’

সেনবাহিনীর প্রতি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে নেড প্রাইস বলেন, ‘একটা ব্যাপার স্মরণে রাখতে হবে আপনাদের, মিয়ানমারে যা যা হচ্ছে, সব আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং আপনাদের যাতে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়, সেজন্য বাইডেন প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।’

সূত্র: প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া

সর্বশেষ সংবাদ

নেতানিয়াহুর বাড়ির বাগানে দুটি বোমা নিক্ষেপ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ির বাগানে দুটি ফ্ল্যাশ বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সিজারিয়া শহরে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ