বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সাতজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। টুর্নামেন্টের এখনও বাকি ২০টি ম্যাচ। এগুলো কবে হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই খোদ আয়োজকদের কাছেও।
করোনা আক্রান্ত হওয়া সাতজনের মধ্যে ছয়জন ক্রিকেটার এবং অন্যজন হলেন টিম স্টাফ। ছয় ক্রিকেটারের সবার নাম জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে সবার আগে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অস্ট্রেলিয়ান লেগস্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ। পরে একই দলের ইংলিশ ওপেনার টম ব্যান্টনের ব্যাপারেও নিশ্চয়তা মিলেছে।
টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার পর এখন শুরু হয়েছে একে অন্যকে দোষারোপ করার খেলা। এক ফ্র্যাঞ্চাইজি দোষ দিচ্ছে আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, পিএসএলের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হলেও, সেটি মানেননি অনেকেই। এ কারণেই মূলত সুরক্ষা বলয় হয়ে পড়ে অরক্ষিত, ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।
তবে পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার পুরোপুরি সব দোষ দিচ্ছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। বিশেষ করে বোর্ডের মেডিক্যাল টিমের ওপরে যেন বেশিই ক্ষিপ্ত শোয়েব। তার মতে, অযোগ্য লোকদের চিকিৎসকের দায়িত্ব দিয়েছে পিসিবি। যারা কি না ঠিকমতো প্রেসক্রিপশনই লিখতে পারে না।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় শোয়েব বলেছেন, ‘(বোর্ডের) অক্ষমতার কারণে পিএসএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু আবারও ধ্বংস হয়ে গেল। আর যারা কি না প্রেসক্রিপশন লিখতে যানে না, এক্স-রে রিপোর্ট দেখতে পারে না, তারাই পিসিবির চিকিৎসক। খেলোয়াড়ি জীবনে আমি দেখেছি, তারা (পিসিবি চিকিৎসক) এক্স-রে দেখতে পারে না। এখনও কিছুই বদলায়নি।’
এসময় পিসিবিকে ধুয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা (পিসিবি) মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন, একইসঙ্গে দেশের মানসম্মান প্রশ্নের মুখে তুলেছেন। পিসিবি চেয়ারম্যান এখন কোথায়? তাকে জবাবদিহি করতে হবে। আমি অনুরোধ করবো উচ্চ কর্তৃপক্ষ এবং মাননীয় আদালত এ বিষয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করবে।’
‘মানি (এহসান মানি, পিসিবি চেয়ারম্যান) কোথায়? সামনে আসুন এবং উত্তর দিন। পিএসএল ধ্বংসের মাধ্যমে আপনি পাকিস্তানের সম্মান নষ্ট করেছেন। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং প্রাইম মিনিস্টারকে বলবো, বিষয়টায় নজর দিন। এটা পাকিস্তান এবং পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বড় অপমান।’