করোনা মহামারি শেষ হওয়ার আশার মধ্যেই ফের আশঙ্কার কথা জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গসংস্থাটি জানিয়েছে, টানা ছয় সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ কমার পর ইউরোপে আবারও নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
ডব্লিউএইচও-এর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গেল সপ্তাহে ইউরোপে করোনার সংক্রমণ নয় শতাংশ তথা দশ লাখেরও বেশি বেড়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে করে গত ছয় সপ্তাহ ধরে আক্রান্তের সংখ্যা কমার কারণে সংক্রমণ হ্রাস পাওয়া যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা শেষ হয়ে গেলে। গত সপ্তাহে ইউরোপেরে অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলজুড়ে মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে।’
ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক প্রধান বলেন, ‘মধ্য ও উত্তর ইউরোপে আমরা করোনার ফের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ লক্ষ্য করছি। এছাড়া নতুন করে রোগী বেড়েছে পশ্চিম ইউরোপের বেশি কিছু দেশেও। যেসব দেশে করোনা সংক্রমণের হার ইতোমধ্যে অনেক বেশি।’
সংক্রমণের লাগাম টানার জন্য মৌলিক যে পদক্ষেপগুলো দরকার তা আবারও ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া তিনি ইউরোপে করোনার টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর বিষয়টির কথাও উল্লেখ করেছেন।
ইউরোপের ৫৩টি দেশ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখা। এরমধ্যে ৪৫টি দেশে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। যেসব দেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে সেসব দেশেরও বেশিরভাগ টিকা সরবরাহ স্বল্পতায় ভোগায় টিকাদান কর্মসূচির গতি এখনো শ্লথ।
সরকারিভাবে পাওয়া হিসাবের বরাতে এএফপি যে টালি তৈরি করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোটভূক্ত দেশগুলোর মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। আর এক ডোজ নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।