স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর অন্যান্য দেশ যেমন লাভবান হবে বাংলাদেশও তেমনই লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেসব সুযোগ হারাবে, তার চেয়ে বেশি সুযোগ পাবে। একই সাথে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে জানতে চায়। তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা নলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুজিব বর্ষে এলডিসি থেকে উত্তরণের ঘোষণায় তিনি নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ মনে করছেন। এতে জাতি গর্বিত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই অর্জনের পেছনে এ দেশের আপামর জনগণের অবদান রয়েছে। আমিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত। জনগন কষ্ট না করলে বাংলাদেশ এই সাফল্য পেত না। এ জন্য জনগনকে ধন্যবাদ।
উত্তরণের পর বাড়তি দুই বছর সময় চাওয়া হয়েছে কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আরও এগোতে হবে। তা ছাড়া একটি স্তর থেকে আরেকটি স্তরে যেতে হলে আরও সময় প্রয়োজন। এ জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকেই আশঙ্কা করে বলেছেন, দেশের পোশাক রপ্তানি ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতি হবে। এটা ঠিক না। আমরা যা রপ্তানি করি তার বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি করা হয়। ফলে নিট ক্ষতি আরও কম হবে।তবে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, তার চেয়ে বেশি লাভবান হব।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় মূল্যায়নে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। এর পর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিকে এই খুশির বার্তা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।