ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরম তুঙ্গে। কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে। ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে এর স্পষ্ট প্রভাব। অনেক বছর ধরেই দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। ভারতে অনুষ্ঠিত অনেক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভিসা না দেওয়ার নজিরও রয়েছে। এরমধ্যে এ বছর ভারতেই অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর এ আসরে নিজেদের খেলোয়াড়দের ভিসা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার লড়াই বরাবরই বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করে ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে। উপমহাদেশের গণ্ডি ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সাড়া বিশ্বেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভারতে খেলা হলে নিরাপত্তা নিয়ে চাপে থাকবেন পাকিস্তানি খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সমর্থকরা। তাই তাদের নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা করে ভাবতেই হচ্ছে পিসিবিকে। এছাড়া ভিসা ইস্যুতো রয়েছেই।
সবমিলিয়ে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে এ নিয়ে লম্বা আলোচনাই হয় পিসিবি সভাপতি এহসান মানির সঙ্গে। বোর্ড অব গভর্নরের (বিওজি) ৭৫তম সভায় এ নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে বলে জানান পিসিবি সভাপতি। আইসিসির কাছে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করতে আমরা আইসিসিকে অনুরোধ করেছি। যদি মেগা ইভেন্ট নিয়ে আমাদের উদ্বেগের সমাধান না হয় তাহলে আইসিসিকে এ আসর চলাকালীন ভারতে পাকিস্তানী প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছি।’
তবে শেষ পর্যন্ত এটা সম্ভব না হলে ভিন্ন কোনো দেশে আইসিসির এ মেগা ইভেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে ভিসার বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছেন মানি, ‘যদি এটি সম্ভব না হয় তবে টুর্নামেন্টটি অন্য কোথাও পরিচালনা করা দরকার। আমাদের ক্রিকেটার, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের জন্য আমাদের ভিসা প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছি। এই উদ্বেগগুলো পূরণ না করা হলে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমরা এখন আইসিসির প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
উল্লেখ্য, আগামী অক্টোবরে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর শুরুর কথা রয়েছে। ১৬টি দলের এ আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ১৪ নভেম্বর।