সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মানসিক প্রতিবন্ধীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রতিবন্ধীর মা। বেলকুচি সদর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের মৃত আকছদ ক্বারীর ছেলে বৃদ্ধ মজনু মন্ডল (৬৫) তার শয়নঘরের জানালা দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী (১৬) বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে জানা যায়।
প্রতিবন্ধী মেয়ের মা জানান, শুক্রবার বিকাল দাড়িয়াপুর গ্রামের সড়ক দিয়ে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি হাঁটছিল। তখন বৃদ্ধ মজনু মন্ডল তার ঘরের জানালা দিয়ে ডাক দেয় এবং ঘরে নিয়ে যায় মেয়েকে। আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী তাই বুঝতে পারেনি যে তার ডাক শুনলে সর্বনাশ হবে। না বুঝে তার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে গেলে ওই শয়তান মজনু মন্ডল তার সার্বনাশ করে। পরে মেয়ে আমার দৌড় দিয়ে বাড়িতে এসে অস্থির হয়ে মজনু মন্ডলের কুকর্মের কথা আমাকে জানায়। পরে আমি ওই এলাকার গ্রামপ্রধানসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ভুট্টর কাছে বিষয়টি জানাই। তারা আমাকে উপযুক্ত বিচার দেবেন বলে আশ্বাস দেয়।
প্রতিবন্ধী মেয়ের ভাই আবু মুছা জানায়, গতকাল ঘটনা ঘটার পর মজনু মন্ডলে ছেলে সায়েম আমার মায়ের কাছে এসে হাত জড়িয়ে তার বাবার কুকর্মের জন্য ক্ষমা চায়। এতে আমার মা বলেন যে গ্রামের মেম্বার ও যারা সমাজের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে তাদেরকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যা করবে তাই হবে। পরে সে বাহিরে চলে গিয়ে রাত ১০টার দিকে ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস (ভুট্টু), স্থানীয় ৪-৫ গ্রাম প্রধাদের ডেকে নিয়ে এসে আমার মায়ের পা জড়িয়ে ধরে মাফ চেয়ে চলে যায়। এটাই কি এই সমাজের ধর্ষণের বিচার। নাকি আমরা অসহায় মানুষ বলে সমাজ আমার প্রতিবন্ধী বোনের ধর্ষণের বিচার দেবে না। সমাজ যদি এই বিচার না দেয় তাহলে আমরা আইনের কাছে বিচার চাইব।
বেলকুচি সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস (ভুট্টু) বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে আপনি যতটুকু জানেন, ঠিক তেমনি আমিও লোক মুখে শুনেছি। এই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তবে অভিযুক্তর ছেলে সায়েম মন্ডল জানান, এটা তাদের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। তাদেরকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য পাঁয়তারা করছে বলে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।