ক্রিকেটার নাসির হোসেনের নববিবাহিতা স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির আগের ঘরের মেয়ে রাসদিয়া হাসান তুবা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছে, ‘মা কখনোই আমার তেমন একটা খোঁজখবর নিতেন না।’
আট বছর বয়সী তুবা আরও বলেছে, ‘মার বিয়ের খবর টিভিতে দেখেছি। এ ছাড়া বাবার বিরুদ্ধে আমাকে তুলে নেওয়ার যে অভিযোগ মা করেছেন তাও মিথ্যা।’
তুবার অভিযোগ, ওই বাড়িতে নানি আমাকে মারধর করত। আমি নিজের ইচ্ছাতেই বাবার সঙ্গে দাদি বাড়ি চলে এসেছি। এখানেই আমার জন্মদিন পালিত হয়েছে। তা ছাড়া দাদি বাড়ির সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি স্বেচ্ছায় এখানে চলে আসি।
তুবা বলে, ‘মা আগেও ভালোবাসতো না আর এখন তো সে আরেকজনকে বিয়ে করেছে।’ তুবার দাদি সালমা সুলতানা বলেছেন, মায়ের বিয়ের কথা জানার পর থেকেই মেয়েটা ভীষণ চুপচাপ হয়ে গেছে। মেয়েটা খুব কষ্ট পাচ্ছে। বিয়ের খবরে অনেক কান্নাকাটি করেছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন নাসির হোসেন। তবে তার স্ত্রী তামিমার আগের পক্ষের স্বামী রাকিবকে তালাক না দেয়ার অভিযোগে বিতর্ক শুরু হয়। এ নিয়ে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মুখ খুলেছেন নাসির ও তামিমা। রাকিবের সঙ্গে হওয়া ডিভোর্সের কাগজও তামিমা দেখিয়েছেন গণমাধ্যমকে। তাছাড়া মেয়ে তুবাকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ করেছিলেন তামিমা।
ওইদিনই তামিমা সাংবাদিকদের তালাকের কপি দেখিয়ে বলেন, ‘এই কপি রাকিবের গ্রামের বাড়ি ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদেও (ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা) পাঠানো হয়েছে।’ জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাকসুদুল হক মাকসুদ এ সংক্রান্ত রেজিস্টার দেখিয়ে বলেন, ‘সাধারণত রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ জাতীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। আর রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠানো হলে তা না আসার কোনো কারণ নেই। আমাদের রেজিস্টারে এ ধরনের নোটিশ আসার কোনো প্রমাণও লিপিবদ্ধ নেই।’