ভরণ পোষণ না দেয়ায় ডাক্তার ছেলে মুসলিম আলী ও তার স্ত্রী সাবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন অসহায় বৃদ্ধা মা ফাতেমা বেগম (৭০)।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামিদের প্রতি সমন জারি করেছেন। বৃদ্ধা মা, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৭০)
মামলার আসামিরা হলেন- বাদীর মেজো ছেলে ডাক্তার মুসলিম আলী ও তার স্ত্রী ডাক্তার সাবিয়া সুলতানা। তারা দুজনেই বর্তমানে সিলেট সদর উপজেলার আপন গুলজার টাওয়ারে বসবাস করেন। একই সাথে তারা কিং ব্রিজের সামনে ইবনে সিনা হোমিও সেন্টারে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তার স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। তবে তার মেজ ছেলে ডাক্তার মুসলিম আলী ও তার স্ত্রী দুজনেই বিত্তবান। তারা বর্তমানে সিলেটে থাকেন। মুসলিমের দুটি চেম্বার রয়েছে। সেখানে তিনি নিয়মিত রোগী দেখেন এবং ওষুধ বেচাকেনা করেন। এ কাজে তিনি প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করেন। কিন্তু মায়ের কোনো খোঁজ খবর নেন না। ভরণ পোষণ চাইলেও দেয় না। মোবাইলে কল দিলে ধরে না। এমনকি ফোন নম্বর ব্লক করে রেখেছেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করেন, বাদীর অন্য ছেলেদের অবস্থা শোচনীয়। মেয়েরা থাকে শ্বশুরবাড়ি। বর্তমানে বাদী অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় অনাহারে, অর্ধাহারে ও বিনাচিকিৎসায় দিন কাটালেও ছেলে তাকে ভরণপোষণ দিচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।