জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা সচল করার দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শাহবাগে জড়ো হয়েছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করার আগেই সেখান থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী কাউসার আহমেদ, হাসান আল মাহদী, শাহ দিদার, সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন মিনা, সাগর, খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সজল মিয়া, হাজী সেলিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মিরাজুল ইসলাম। বাকি তিন জনের নামপরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ডিএমপি রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, অনলাইন মেসেজের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব কলেজগুলো আছে সেগুলোর শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিয়ে মোড় অচল করর দেবে। শাহবাগ চত্বরে অনেক হাসাপাতাল রয়েছে। জন জীবনের দুর্ভোগ এড়াতে এ রাস্তা যাতে নির্বিঘ্ন থাকে তাই আমরা সবাইকে মেসেজ দিচ্ছি এখানে যেন কেউ জড়ো না হয়। যদি তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে মেসেজ দেওয়ার মতো কিছু থাকে তারা প্রেস ক্লাবে গিয়ে জড়ো হতে পারে।
আটকের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা কোথায় থেকে এসেছে, কেন এসেছে এগুলো জেনে তাদের যথাসময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আহাদউজ্জামান বলেন, আমরা কোনো সরকার পতনের আন্দোলন করছি না, আমরা আমাদের যোক্তিক আন্দোলন করছি। আমাদের চলমান যে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে সে পরীক্ষা যেন নেওয়া হয়। সাত কলেজের যদি পরীক্ষা নিতে পারে আমাদের ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন।
তেজগাঁও কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী সাদমান সাঈদ বলেন, আমরা আমাদের চলমান পরীক্ষাটি স্থগিত করার প্রতিবাদে শাহবাগে এসেছিলাম। কিন্তু দাঁড়ানোর আগেই আমাদের ১০ বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। গণতান্ত্রিক দেশে এটা কখনো কাম্য নয়।