স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘দেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে ৬০ শতাংশের উপর মানুষ ভোট দিচ্ছে। মিডিয়াতেই বলা হয় কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড়, নারীরা দীর্ঘ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন। পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলেই নারীরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। ফলে নির্বাচন সঠিক ও প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে।’
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যশোরের কেশবপুরে পৌরনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সবস্থানেই নির্বাচনে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাব দেখা দেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দ্রুত প্রশমনও করে। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না এসব কথা মানতে একেবারেই রাজি না আমি।’
সিইসি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় যশোর পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। তবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় কমিশন। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।
সিইসি আরও বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আদেশের কপি আমরা হাতে না পাই। হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন আদেশ পেতে সময় লাগবে। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ এতদিন নির্বাচনের কোনও কার্যক্রম করা যায়নি। টাইম লস হয়ে গেছে। এই টাইমটা দিতে হবে প্রার্থীদের। মোটামুটি ১৪/১৫দিন টাইম দিতে হয় প্রার্থীদের। এটা আমরা পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনটি সম্পন্ন করা যেতে পারে। তারপরও বলবো যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।’
কেশবপুর পৌরনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনার এর আগে নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।