spot_img

বাংলাদেশি ভাত-ডাল-সবজি আমিরের পছন্দের তালিকায়

অবশ্যই পরুন

আধুনিক ক্রীড়াজগতে তারকাদের ওপর খাবার নিয়ে থাকে অনেক বিধিনিষেধ, পাছে ফিটনেস পড়ে যায়! তবে এতোসব নিয়মের বেড়াজালেও তারকারা নিজেদের পছন্দের খাবার কিছুটা হলেও খেয়েই থাকেন। বিদেশ বিভূঁইয়ে এসে মনে ধরে যায় সেখানকার খাবারও। তেমন ব্যাপার ঘটেছে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশে এসে পছন্দ হয়ে গেছে এখানকার খাদ্যাভ্যাস!

সম্প্রতি ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয় খাবারের কথা বলতে গিয়ে আমির উল্লেখ করেন বাংলাদেশি খাবারের কথা। বলেন, ‘বিপিএলে খেলতে গেলে সেখানকার ভাত-ডাল মাখা খুব ভালো লাগে আমার। বাংলাদেশে এ খাবারটা বেশ লাগে। তবে বেশিরভাগ সময় শাকসবজিই খাই আমি।’

আমিরের এ তালিকায় অবশ্য কেবল বাংলাদেশি খাবারই একমাত্র নয়। দুবাইয়ে থাকলে তুর্কি-লেবানিজ খাবারও দারুণ আনন্দ নিয়ে সাবাড় করেন পাকিস্তানি এ তারকা, ‘সেসব খাবারে আমার কোনো বাঁধা নেই। কারণ সেসবে চর্বি একেবারেই থাকে না।’ দুবাই আরও একটা কারণে পছন্দ আমিরের। পাকিস্তানি পেসার বললেন, ‘দুবাই আর লন্ডনে যে কোনো খাবার, যে কোনো সময় পাওয়া যায়, ব্যাপারটা ভালো লাগে।’

এসব তো গেল বাইরে গেলে। কিন্তু ঘরে ফিরলে? পাকিস্তানে কার খাবার পছন্দ? আমিরের উত্তর, ‘আমার স্ত্রীর সে খুব ভালো রাঁধে। তার রান্না করা পাস্তা আর মুরগির স্টেক বেশ পছন্দ আমার। বিরিয়ানিও, সে খুবই ভালো বিরিয়ানি রাঁধে।’

তবে খেলার মাঠে, সূচির চাপে থাকলে খাবারে কিছুটা হলেও বাঁধ দিতে হয়। নিজেকে ধরে রাখতেও হয় নিয়মের মধ্যেও। আমিরের কথা, ‘সকাল সাতটা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে সকালের খাবারটা নিয়ে ফেলি। কারণ, সকালের খাবারটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে পুরো দিন ভুগতে হয়। দুপুরের খাবারটা সেরে ফেলি দুপুর ২টার আগেই, ৯টার আগে শেষ হয় রাতের খাবার।’

শুধু খাবারের নিয়মেই নয়, খেলার সময় নজর দিতে হয় খাবারের দিকেও। চলে না কোনো ভারী খাবার। আমির বললেন, ‘ভারী খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কারণ ভাত, মুরগী এরকম খাবারে শরীর ভারী হয়ে পড়ে, সহজাত নৈপুণ্যটা দেখানো যায় না। সেসময় বড়জোর মাছ অথবা ম্যাশড পট্যাটো খেয়ে থাকি।’

এমন ভোজনরসিক আমিরের রান্নার হাত অবশ্য বেশ কাঁচা। জানালেন, ‘আমি চা-টাও বানাতে পারি না!’ তবে সতীর্থরা? কোন সতীর্থের খাবারের ভক্ত আমির? পাকিস্তানি পেসারের উত্তর, ‘আমাদের দলে কয়েকজন বেশ ভালো রাঁধত। আমার মনে পড়ে, ২০১০ বিশ্বকাপের কথা, তখন সাইদ আজমল ভালো রান্না করতেন। সে সফরে আমাদেরকে ডাল সহ আরও কত কী রান্না করে খাইয়েছিলেন! সেসব দারুণ মুখরোচকও ছিল। তখন হালাল খাবার পাচ্ছিলাম না বলে হোটেল থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছিল রান্না করার। সাইদ ভাই দায়িত্বটা নিয়েছিলেন, দারুণ রেঁধেছিলেন তখন।’

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ