টুইটারে পাকিস্তানের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী তরুণী মালালা ইউসুফজাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছে তালেবান। গতকাল বুধবার নয় বছর আগে মালালাকে খুন করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযুক্ত ওই তালেবান লিখেছে, প্রথম বার রেহাই পেয়েছ। কিন্তু এরপর আর রেহাই পাবে না। কারণ এবার আর ভুল করব না। তোমাকে নিশ্চয় হত্যা করা হবে। এ পোস্ট দেয়ার পর পরই টুইটার কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়।
এ হুমকির পর মালালা ইউসুফজাই তার টুইটারে তাকে হত্যাপ্রচেষ্টায় আটক এহসানুল্লাহ এহসান কী করে সরকারের হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়েছে তা জানতে চেয়েছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে।
এহসানকে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার তথাকথিত সেফ হাউস থেকে ছাড়া পেয়ে যায় সে। তার গ্রেপ্তার এবং মুক্তি দুটোই রহস্যাবৃত ও বিতর্কিতই থেকে যায়। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সে তার উর্দু ভাষার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে এবং বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারও দেয় এহসান। তার একাধিক অ্যাকাউন্ট ছিল। তবে টুইটার কর্তৃপক্ষ এখন সবগুলোকে বাতিল করে দিয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা রাউফ হাসান বলেন, সরকার ওই হুমকি সম্পর্কে তদন্ত করছে। তারা টুইটার কর্তৃপক্ষকে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার অনুরোধ করে। পাকিস্তানি তালেবানের দীর্ঘদিনের সদস্য এহসান মালালাকে দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলে, তারা মালালা ও তার বাবার সঙ্গে একটি ফয়সালায় যেতে চায়।
মালালা ইউসুফজাই ২০১২ সালে ১৫ বছর বয়সে স্কুলে যাওয়ার পথে পাকিস্তানে তার নিজের এলাকা সোয়াত ভ্যালিতে তালেবানের হাতে গুলিবিদ্ধ হন। মুমুর্ষূ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো হয়। তখন থেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী নারীশিক্ষার উৎকর্ষের জন্য একটি তহবিলও গড়ে তুলেন তিনি। মালালা তার টুইটারে লিখেন, তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের সাবেক মুখপাত্র এহসান গ্রেপ্তার থেকে কী করে ছাড়া পেল? সূত্র: দ্য হিন্দু